বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি:
তাপদাহে পুড়ছে পুরো বাঘা, টিউবয়লে থাকছে না পানি।তাপদাহে পুড়ছে পুরো উত্তরাঞ্চল। বৈশাখের তপ্ত রোদ আর ভ্যাপসা গরমে জীবন অতিষ্ঠ। এদিকে, সামনের দিনগুলোয় আরও তাপমাত্রা বাড়ার শঙ্কা আবহাওয়া অফিসের। তবে মৌসুমি রোগবালাই মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গেল ১৫ দিন ধরে এই অঞ্চলে সূর্য তাপ দিচ্ছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারো বেশি।
ভ্যাপসা গরমে রাজশাহীর বাঘার সাধারণ মানেুষের যায় যায় অবস্থা। শান্তি নেই কোথাও। মাঠে কাজ করতে গেলে দুর্বল হচ্ছেন মানুষ। গেল ৫০ বছরে প্রকৃতির এমন বিরূপ দৃশ্য দেখেনি এখানকার মানুষ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সূর্যের এই তাপ সাধারণত জুন-জুলাইয়ে অনুভব হলেও এবছর অনেক আগেই ছড়িয়েছে। শুধু এপ্রিল মাস না মে মাসেও দিনে মৃদু, মাঝারি শেষে তীব্র তাপদাহ হতে পারে।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: আশাদুজ্জামান বলেন, বতমানে আবহাওয়া পরিবর্তন ও রোদের তাপ বৃদ্ধির কারণে যে কোন ধরণের সরিল খারপ হতে পারে। বিশেষ করে জ্বর ও পাতলা পায়খানা হতে পারে। তাই এই সময় সকলকে অনেক বেশি পরিমানে পানি পান করতে হবে সব সময় ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করতে হবে। আর সচেতন থাকার বিকল্প নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ধরনের রুগীর পরিমান কেমন ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২-৩ জন জ্বর ও পাতলা পায়খানা জনিত রোগী আছে । তবে তাদের এই সমস্যা আসলে কি জন্য হয়েছে তা নিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বাউসা এলাকার কৃষক নায়েব আলী বলেন, আমরা দিনের বেশি ভাগ সময় মাঠে থাকি। এখন রোদের যে তাপ মাঠে থাকতে পারছি না । এতে আবাদি জমিতে আবাদ করা কষ্ট হয়ে পরছে। পানির প্রয়োজনে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এই তীব্র ক্ষরার জন্য উঠছে না টিউবয়েলে পানি। তাই খাবার পানির জন্য ভুগানতিতে পড়তে হচ্ছে। পানি আনতে হচ্ছে পাশের পরিচিত কোন এক জলমটার থেকে।