খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, পাঁচ বছর পর আবারও এসেছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন আসলে একাধিক প্রার্থী জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করবে এটাই স্বাভাবিক।
এ সময় প্রার্থীরা জনগণের কাছে আসবে, ভোটারদের পবিত্র আমানত ভোট চাইবে। কিন্তু আপনাদের বিবেচনা করতে হবে আপনারা কোন প্রার্থীকে আপনারা ভোট দিবেন। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে আপনাদের পছন্দের যোগ্য প্রার্থীকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করবেন।
তিনি আরো বলেন যে, আপনারা উপজেলা নির্বাচনে যাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন, সে আগামী পাঁচ বছরের জন্য আপনাদের অভিভাবক হিসেবে কাজ করবে। আপনারা যদি সঠিক প্রতিনিধি বাঁচতে ব্যর্থ হন, তাহলে আগামী পাঁচ বছর আপনাদের নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলে যে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে সে উন্নয়ন কার্যক্রমেও চরম বাঁধাগ্রস্ত হতে পারে। আপনারা রামপালে যে শান্তিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে সময় অতিবাহিত করছেন, ভুল প্রার্থী নির্বাচিত করলে সেক্ষেত্রেও আপনাদের চরম নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হতে পারে।
ভোট আপনাদের পবিত্র আমানত। তাই কাকে ভোট দিলে এলাকার উন্নয়ন, শান্তি শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও সামাজিক পরিবেশ সুস্থ থাকবে, সেটা বিবেচনা করেই আপনাদের ভোট দেওয়া উচিৎ।
তিনি আরও বলেন যে, উপজেলা পরিষদের সাথে স্থানীয় এমপি’র সুসম্পর্ক বজায় রাখার দরকার হয়। যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে স্থানীয় এমপির সুসম্পর্ক বজায় না থাকে তাহলে উপজেলার উন্নয়ন ব্যহত হয়। ফলে আপনাদের এমন প্রার্থীকে নির্বাচিত করা উচিৎ যার সাথে স্থানীয় এমপি সমন্বয় করে চলতে পারে।
বুধবার(১৭ এপ্রিল) বিকেলে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে রামপালের গৌরম্ভা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আব্দুর রউফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ নুরুল হক লিপন, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি, আওয়ামী লীগ নেতা আরাফাত হোসেন কচি, নিখিল রঞ্জণ চৌধুরী, শেখ শরিফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।