টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বেকুব চালক স্বামী ফিরোজ মিয়ার পুরুষাঙ্গ ধারালো বটি দা দিয়ে কেটে নিয়ে পালিয়ে গেল স্ত্রী জাকিয়া বেগম।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী গ্রামে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। ফিরোজ রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে ও স্ত্রী জাকিয়া বেগম একই এলাকার জিগাতলা গ্রামের মোঃ জামিলের মেয়ে। তাদের ঘরে ৫ বছর বয়োসি একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।এদিকে ঘটনার পর থেকেই স্ত্রী জাকিয়া পলাতক রয়েছে। এছাড়া কর্তনকৃত পুরুষাঙ্গটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ডাক্তার বলেছেন কর্তন হওয়া পুরুষাঙ্গ উদ্ধার করে জোড়া লাগাতে না পারলে রোগী মারা যাওয়ার সম্ভবনা বেশি। প্রতিবেশীরা পলাতক স্ত্রীকে খুঁজে বের করে কর্তন পুরুষাঙ্গ উদ্ধারের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০/১২ বছর আগে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে ফিরোজ মিয়ার সাথে একই এলাকার জিগাতলা গ্রামের মোঃ জামিলের মেয়ে জাকিয়া বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। বিষয়টি মিমাংসার লক্ষে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস হয়েছে। সম্প্রতি গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানার মাধ্যমে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে ছিলো। সেখানে শালিসে ২০ হাজার টাকা দিতে সম্মত হলেও পরবর্তীতে ৩ লাখ টাকা না দিতে পেরে ফিরোজ স্ত্রীকে আবার নিজ ঘরে ফিরিয়ে আনে। তারপরও তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই ছিলো।
মঙ্গলবার রাতে ফিরোজ বাড়ি ফিরে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। বুধবার সকালে কোন এক সময় স্ত্রী জাকিয়া বেগম তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়ে পালিয়ে যায়। লজ্জার কারণে বিষয়টি গোপন রাখলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তা প্রকাশ পায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বলেন-সকালে ফিরোজকে ঘুমে দেখে আমি তার ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বের হই। হঠাৎ সাড়ে ৯ টার দিকে ফিরোজের বৌ আমাকে ফোন দিয়ে বলে, আপনি কোথায়? তাড়াতাড়ি বাড়িতে যান। আপনার ছেলে যেন কেমন করছে। একথা বলেই সে ফোন কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। আমার ছেলের সাথে যা করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ জানান ঘটনাটি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।