মাটিরাঙ্গা(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) বিজিবি সদস্য জাহিদুল ইসলাম(২৫)র বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে ঐ কিশোরীর মা ধর্ষণের কথা জানিয়ে থানায় মামলা করেন।
জাহিদুল ইসলাম(২৫) মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড হাতিয়া পাড়া এলাকার মো: মোশাররফ মিয়ার ছোট ছেলে। সে বর্তমানে কক্সবাজার টেকনাফে বিজিবি’তে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী অভিযোগ করে বলেন, বিজিবি সদস্য জাহিদুল ইসলামের সাথে তাঁর চার মাস প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বকধর্ষণ করে জাহিদুল। গত শনিবার ১৩/০৪/২০২৪খ্রী: রাত অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় জাহিদুল ফোন দিয়ে মেয়েকে ঘর থেকে বের হতে বলে এবং পরে তাঁর বাড়ির পাশে জংগলে নিয়ে যেতে চাইলে আমি চিৎকার করলে এলাকার প্রতিবেশীরা আসলে জাহিদুল পালিয়ে যায়।
হাতিয়া পাড়া এলাকার সর্দার মো: রাকিব উদ্দিন ও এলাকার বেলাল হোসেন সহ একাধিক লোক জানান, হাতিয়া পাড়া এলাকার মোশাররফ মিয়ার বাড়ীর পাশ থেকে শনিবার রাত সাড়ে নয় ঘটিকার সময় হঠাৎ মেয়ে কন্ঠের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় জাহিদুল দৌড়ে পালিয়ে যায়, পরে ঐ কিশোরীকে কান্না করতে দেখে মেয়েকে জিগ্যেস করলে মেয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। এবং বলে এর আগেও জাহিদুল এই মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।
পৌর ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাউদ্দিন লিটন বলেন, গত শনিবার রাতে এলাকার যুবসমাজ থেকে একটি ফোনের মাধ্যমে বিজিবি সদস্য জাহিদুল ইসলাম ও এক কিশোরীকে আটকের বিষয় অবগত হই। বিষয়টি শিশু ধর্ষণ সংক্রান্ত হওয়ার কারণে আমি মেয়র মহোদয়কে বিস্তারিত ঘটনা জানাই, পরে মেয়র ও এলাকার সর্দার, মুরুব্বিদের মতামতের ভিত্তিতে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিই। এবং শুনেছি ইতিমধ্যে ঐ কিশোরীর মা থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, কিশোরীর জবানবন্দির ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। ঐ কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ভিকটিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।