রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন

চায়ের রাজধানীতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়।

এলিসন সিঙ,মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ / ১০৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠে। পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় জমেছে ঈদের দিন নামাজের পর থেকেই আনন্দ উপভোগ করতে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকের আনাগোনায় শ্রীমঙ্গল এলাকা মুখর হয়ে উঠে। ঈদের দ্বিতীয় দিনেও লক্ষণীয় ভিড় ছিল শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে নয়াভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ভিড় করছেন হাজারও মানুষ। কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঈদের দিন ও আজ বিকেল পর্যন্ত   রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার দর্শনার্থী ছুটে আসেন । এখানকার প্রান প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য ঘুরে ঘুরে দেখে তাদের ঈদের আনন্দ উপভোগ করেন তারা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে পর্যটকরা পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটিতে বেড়াতে এসেছেন এখানে।

দুপুরের পর থেকে উপচেপড়া ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠে চা বাগান, ৭১ বধ্যভূমি, চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, টি মিউজিয়াম এবং সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানাসহ দর্শনীয় স্থানগুলো। হৈ-হুল্লোড় আর নাচ-গানে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এদিকে চা বাগানসহ জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে টুরিস্ট পুলিশসহ প্রশাসনকে। তবুও দর্শনাথীদের নিরাপত্তা দিতে মোড়ে মোড়ে ছিল কঠোর নজরদারি। ফরিদপুর থেকে সপরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা রুকশানা আক্তার বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে সময় দেওয়া যায়। তাই লাউয়াছড়া, মাধবপুর লেক ও গতকাল মাধবকুণ্ড ঘুরে আসলাম।

মৌলভীবাজার জেলায় এত সুন্দর প্রকৃতি পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করবে এখানে একবার এসে এখন বারবার মন চাইবে এখানে ছুটে আসতে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের উপপরিদর্শক প্রবাল সিনহা বলেন, পুলিশের সার্বক্ষণিক নজরদারির কারণে এখানে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ও হয়রানী ছাড়াই পর্যটকরা আনন্দ উপভোগ করে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিটি পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির অফিস সহকারী আফজাল হোসেন বলেন, ঈদের দিন,ও শুক্রবার আজ শনিবার উদ্যানে প্রায় পাঁচ হাজার সাতশত জন পর্যটক প্রবেশ করেছেন। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে ‘দুই লক্ষ উনসত্তর হাজার টাকার । আশা করছি আগামী কয়েকদিনে অনেক পর্যটকের আগমনে হবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর