শিরোনাম
বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে দুই বাংলাদেশী যুবকক আটক। গার্ডকে মারতে এসে আইনজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা, ৫ জন গ্রেফতার। বৃষ্টিতে ‘বিদ্যুৎবিভ্রাট’রাণীশংকৈলে মোমবাতির আলোতে এসএসসি পরীক্ষা। ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দুর্নীতির অভিযোগে বদলি। মাধবপুরে এসএসসি সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনে ৩৫ জন অনুপস্থিত। কালিয়াকৈরে আগুনে পুড়ে গেল ৩ টি ঝুটের গোডাউন। গাঁজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে তাহিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। রায়পুরায় ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম। ইনডাকশান প্রশিক্ষণ ডিজি এ্যাওয়ার্ড পেলেন নাজমুল হক। পরিবেশ দুষণরোধে পলিথিনের ব্যবহার বর্জন ও প্লাষ্টিকের পুন:ব্যবহার জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন।
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৯ অপরাহ্ন

রাণীশংকৈলে এক কৃষকের ভুলে পুড়ল অন্য কৃষকের স্বপ্ন।

আনোয়ার হোসেন আকাশ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ / ১০৩ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের তারিখ ও সময় : রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
গম কেটে নেওয়ার পর জমিতে পড়ে থাকা অবশিষ্ট ডাটা জৈব সার তৈরির জন্য আগুন দিয়েছিলেন কৃষক কলিমুদ্দিন। চৈত্র মাসের প্রখর রোদ ও বাতাসে সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের গম খেতে। এতে এক কৃষকের প্রায় ৮ বিঘা জমির গম খেত পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের কামাত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গমখেতের পাশাপাশি ভুট্টা খেতেরও ক্ষতি করেছে ওই আগুন।
প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সদস্য আবু সালেহ বাবলু বলেন, গম কেটে নেওয়ার পর ওই জমিতে ধান খেত রোপণের জন্য গমের উচ্ছিষ্ট ডাটাতে আগুন দিয়েছিল পাশের গ্রাম কাদিহাট এলাকার কৃষক কলিমুদ্দিন।
কিন্তু সেই আগুনের লেলিহান শিখা পাশের গম খেতে ছড়িয়ে পড়ে। মাঠে থাকা লোকজন চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করলেও সাবলু নামের এক কৃষকের ৮ বিঘা জমি পুড়ে গেছে। এতে প্রায় তার তিন লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। স্বপ্ন পুড়ছে সেই কৃষক পরিবারের।
ক্ষতিগ্রস্ত গমচাষি সাবুল হক বলেন, ‘অনেক আশা করেছিলাম গম কেটে বিক্রি করে ঈদে ছেলে মেয়েদের কাপড়-চোপড় কিনে দেব। কিন্তু আগুন সব ধ্বংস করে দিল। কলিমুদ্দিনের কাছে আমরা ক্ষতিপূরণ চেয়েছি। ক্ষতিপূরণ না দিলে মামলা করব।’
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে কৃষক সাবুলকে স্হানীয় ইউপি সদস্যের জিন্মায়  রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এই গরমে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। অসচেতনতার কারণেই আগুনে কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে গেছে। যত্রতত্র এভাবে আগুন দেওয়া বন্ধে স্থানীয় কৃষি অফিস ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘গম খেতে উচ্ছিষ্ট ডাটাতে আগুন দিলে পাশের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা যেন কৃষকেরা না করে সে ব্যাপারে আমরা কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা করছি।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর