মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহিদ দিবস, ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ,২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, জাতীয় শোক দিবস, জেল হত্যা দিবস সহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত সকল দিবস একটানা ১০ বছর বর্জন করছেন মাধবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান।
এসব জাতীয় গুরুতপূর্ণ দিবস ইচ্ছাকৃত ভাবে বর্জন করায় মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ইচ্ছাকৃত ভাবে সব জাতীয় দিবসে অংশগ্রহন না করে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করছেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন কাজী কবির উদ্দিন বলেন, উপজেলা পরিষদ সরকারের গুরুত্বপূর্ন স্থানীয় সরকার বিভাগ।
কিন্তু মাধবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইচ্ছাকৃত ভাবে গত ১০ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক জাতীয় দিবসে অংশগ্রহন না করায় তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে দাবি করছি। তিনি আরো বলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাতীয় দিবসে অংশগ্রহন থেকে বিরত থাকলে ভাইস চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি কৌশলে কোন ভাইস চেয়ারম্যানকে এখন পর্যন্ত জাতীয় দিবসে দায়িত্ব দেয়নি।
আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান জানান, আমরা গবীর ভাবে লক্ষ্য করছি উপজেলা চেয়ারম্যান গত ১০ বছর ধরে জাতীয় দিবসে পতাকা উত্তোলন, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও কোন আলোচনা সভায় অংশ গ্রহন করেনি। এসব ঘটনা মাধবপুর বাসিকে মর্মাহত করেছে।
মাধবপুর উপজেলা পরিষদে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডঃ সুফিয়া আক্তার হেলেন বলেন, জাতীয় দিবসে উপজেলা চেয়ারম্যান অংশগ্রহন করতে কোন সমস্যা থাকলে ভাইস চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিতে পারতেন। কিন্তু গত ১০ বছরে তিনি কোন ভাইস চেয়ারম্যানকে এরূপ দায়িত্ব দেননি। দায়িত্ব দেওয়া হলে জাতীয় গুরুতপূর্ণ দিবস নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠত না। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মজিব উদ্দিন তালুকদার ওয়াসিম বলেন এটি আমাদের জন্য কলংক।উপজেলা চেয়ারম্যানকে আমরা বার বার অনুরোধ করেছি জাতীয় দিবসে তিনি অংশ নিতে কোন সমস্যা হলে যেন আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি আমাদের কোন দায়িত্ব দেয়নি।
এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান জানান, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে অংশগ্রহন করতে আমার আন্তরিকতার কোন অভাব নেই। কিন্তু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে আমার উপস্থিতি অনেকেই ভালভাবে দেখে না।
জাতীয় দিবসের প্রতি আমার পূর্ন আস্থা ও শ্রদ্ধা রয়েছে। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম ফয়সাল বলেন আমার যোগদানের প্রায় আড়াই মাস। এরমধ্যে শহিদ দিবস, ২৫ মার্চ গনহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে উপজেলা চেয়ারম্যানকে অনুপস্থিত ছিলেন। বিগত ১০ বছর জাতীয় দিবসে অংশগ্রহন করেছেন কিনা আমার জানা নেই।