মাটিরাঙ্গা(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃ
বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন রুবেলের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সারা ফেলেছে পুরো খাগড়াছড়ি জেলায়।বাজারে যেখানে গরুর মাংসের দাম ৮০০-৮৫০ টাকা, সেখানে তিনি বিক্রি করছেন মাত্র ৬৮০ টাকায়। প্রতিদিন মাটিরাঙ্গা মাংস বাজারে সকাল বেলায় তার দোকান ঘিরে ক্রেতার ভিড়, ন্যায্য দাম এবং মান ভালো হওয়ায় দূর দূরান্ত থেকেও আসছে ক্রেতারা।
কারণ আর কিছুই না বাজারে যেখানে গরুর মাংসের কেজি ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা সেখানে এই দোকানে মিলছে মাত্র ৬৮০ টাকা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে গরুর মাংস সীমিত আয়ের মানুষের জন্য বিলাসী পণ্য। রমজান মাসজুড়ে চলবে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এই কার্যক্রম। শুধু হতদরিদ্র পরিবারই নয়, বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ এখান থেকে গরুর মাংস কিনছেন।
ভাইরাল হতে নয় বাজার মাংস ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গতেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন রুবেল।
রবিবার সকালে মাটিরাঙ্গা মাংস বাজারে গেলে দেখা যায়, গরুর মাংস কিনতে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড়। দোকানে বড় টুকরা করে গরুর মাংস ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একজন মাংস কাটছেন, অন্যজন ব্যাগে ভরে দিচ্ছেন। পাশে বসে টাকা নিচ্ছেন ছাত্রলীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন রুবেল। এই স্থানে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মজুমদার সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতারাই তদারকি করছেন।
টুকরা করে গরুর মাংস ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একজন মাংস কাটছেন, অন্যজন ব্যাগে ভরে দিচ্ছেন। পাশে বসে টাকা নিচ্ছেন ছাত্রলীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন রুবেল। এই স্থানে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মজুমদার সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতারাই তদারকি করছেন।
মাংস ক্রেতা উলি উল্যাহ জানান, এক বছরের মধ্যে এই প্রথম ৬৮০ টাকা দরে গরুর মাংস কিনতে পেরেছি।এখানে একদম ফ্রেস মাংস কিনতে পারলাম।
মাংস ক্রেতা ইমাম হোসেন বলেন, আগে মাংসের দাম ছিল প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, এখন ছাত্রলীগের সভাপতি মাংসের দাম কমিয়ে ৬৮০ টাকায় নিয়ে আসছে। এখানে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত কিনার সুযোগ রয়েছে। আমি চাই এই সিস্টেম যেনো সবসময়ের জন্য অব্যাহত থাকে।
তছলিম উদ্দিন রুবেল বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সহযোগিতায় প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে, তা–ও আবার দেশি জাতের, প্রতিটি গরুর ওজন ১২০-১৩০ কেজি করে। বাজার থেকে ১২০ টাকা কম দরে ৬৮০ টাকায় প্রতি কেজি মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। সর্বনিম্ন ১০০ গ্রাম পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। কাউকে বিমুখ করা হচ্ছে না।
বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে ছাত্রলীগের রুবেলের পরিচালনায় বর্তমানে গরুর মাংস ৬৮০ টাকা ও হতদরিদ্র পরিবারের জন্য ৬০০ টাকা হারে বিক্রি করা হচ্ছে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
এই উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি বর্ণাল, গোমতিতে ও শুরু হচ্ছে এমন কার্যক্রম।