মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন

জামিনে মুক্তি পেলেন নকলার সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা।

ডেস্ক নিউজ / ১২৯ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪

ডেস্ক নিউজঃ

ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত দেশ রূপান্তর পত্রিকার শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা প্রতিনিধি শফিউজ্জামান রানা (৪৫)নামের সাংবাদিক জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

১২ মার্চ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় আপিল বিভাগের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তার সাংবাদিক রানাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন। জামিন আদেশের পরপরই জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

এ খবর নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মোঃ আরিফুর রহমান সুমন,আসামি পক্ষের আইজনজীবী আব্দুর রহিম বাদল ও এড. রফিকুল ইসলাম।

বিকেলের শেষদিকে অনির্ধারিত ভাবে আদালত বসে ও জামিন আদেশের পরপরই সন্ধ্যায় জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান সাংবাদিক রানা। মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেল সুপার হুমায়ুন কবীর খান।

জানা যায়,১২ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজার বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল খায়রুমের কাছে সাজা বাতিল ও জামিনের জন্য আপিল দায়ের করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। পরে তিনি আইনজীবীদের আবেদন গ্রহণ করেন এবং শুনানির জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহারের আদালতে পাঠান।

সাংবাদিক রানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজার আলোচিত ঘটনায় প্রকাশিত গণমাধ্যমের খবরের প্রেক্ষিতে ১০ মার্চ থেকে দু’দিনের জন্য সরেজমিন তদন্তে আসেন তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক। ওই সময় জেলা কারাগারে বন্ধি সাংবাদিক রানা, নকলার বাসায় গিয়ে রানার স্ত্রী বন্যা আক্তার ও দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র ছেলে মাহিম এবং নকলার ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন ও ইউএনও’র সিএ শিলা আক্তারসহ শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্তের সাথে কথা বলেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে নকলার ইউএনও কার্যালয়ে প্রবেশ করে সিএ শীলা আক্তারকে নাজেহাল, অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল তছনছ এবং উপজেলা পর্যায়ে দাপ্তরিক এক সভায় ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিনের কর্তব্য কাজে বাধাসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

শফিউজ্জামান রানার পরিবার অভিযোগ করে বলেন সাংবাদিক রানা তথ্য অধিকার আইনে একটি প্রকল্পের তথ্য চাইতে গিয়ে ওই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর