আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারত থেকে টিসিবি’র ৪’শ মেট্রিকটন আমদানি করা ছোলার প্রথম চালানটি গতকাল সোমবার খালাস দিয়েছে বেনাপোল কাস্টমস। খালাস পাওয়া ১২টি গাড়িতে ৪’শ টন ছোলা রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবীন্দ্র সিং ৪’শ টন ছোলা আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এ সময় তিনি জানান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রথম চালানে ৪’শ টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে। ছোলার গুণগত মান নির্ণয় করে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান,আমদানির ক্ষেত্রে খরচ প্রতি কেজি ছোলার দাম ৮৫ টাকা পড়লেও ৪৫ টাকা ভর্তুকি দিয়ে ৫৫ টাকায় খোলাবাজারে টিসিবির কার্ডধারীদের মধ্যে বিক্রি করা হবে।
দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকার ২০২২ সালে ১ কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির মাধ্যমে কম মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেন সরকার। এ ছাড়া রমজানের মধ্যে ছোলার পাশাপাশি ডাল, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর বিক্রি করবে টিসিবি।
এবার রমজানের জন্য বেনাপোল বন্দর দিয়ে টিসিবির ডাল ও পেঁয়াজ আমদানি চলমান আছে। নতুন করে ৪ হাজার টন ছোলা আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম চালানে ৪০০ টন ছোলা বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। সাধারণ ব্যবসায়ীদেরও শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচা ছোলা আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। তবে সে সুযোগের কোনো সুফল পাচ্ছেন না ক্রেতারা। গত বছরে ছোলার কেজি ৭৮ থেকে ৮০ টাকা থাকলেও এবার কোনো কারণ ছাড়া ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। সরকারিভাবে ছোলা আমদানি হওয়ায় বাজারে ছোলার দাম কমে আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন ক্রেতারা।
টিসিবির পরিবার কার্ডধারী একজন গ্রাহক বর্তমানে ৩০ টাকা কেজি দরে মাসে পাঁচ কেজি চাল, ১০০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার ভোজ্যতেল এবং ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারছেন। রমজানে ৫৫ টাকা কেজি দরে এক কেজি ছোলাও কিনতে পারবেন।
রায়হান সোবহান নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘রমজানের আগে নিত্যপণ্যের দাম কমলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ উপকৃত হবো। তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট না ভাঙলে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না।’
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, রোজায় টিসিবির অর্ধেক মূল্যে পণ্য নিম্ন আয়ের মানুষ পেলে তারা খুব উপকৃত হবেন।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম খবরের কাগজকে জানান, পবিত্র রমজান উপলক্ষে ছোলাসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে। বন্দর থেকে যেন দ্রুত ছোলার চালান খালাস দেওয়া যায় সেজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।