বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাঘায় ৪ মার্চ সোমবার উপজেলার আড়ানী পৌর শহরের বাজার এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের বিধিমালা পরিপন্থী কাজ করার অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করে জাহানারা ডায়াগনস্টিকস সেন্টার ও নাজিয়া ডায়াগনস্টিকস সেন্টার নামের দু’টি ডায়াগনস্টিক সেন্টাকে বন্ধ করে করে দিয়েছেন।
এ সময় তিনি জানান,তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকা ও স্বাস্থ্য বিভাগের বিধিমালা লঙ্ঘনের অপরাধে ডায়াগনস্টিক সেন্টার দুটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাদের লাইসেন্স নেই কিংবা অনেক আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জানা যায়,উপজেলায় ২৫ টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। যাদের বেশির ভাগই লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তির্ন হয়েগেছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও অস্ত্রপচারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ছাড়াই চলছে অধিকাংশ ক্লিনিক।
২০২২ সালের ৩০ মে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার ও অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডায়াগনস্টিক পরিচালনা করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯/৫২ ধারা মোতাবেক সাতটি ক্লিনিক ও ডায়াগসষ্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর উপজেলার হিজলপল্লী গ্রামের মোজাম্মেল হকের স্ত্রী যুথি বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে উপজেলা সদরে স্থানীয় ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন। এ সময় প্রসূতির সিজার করে বাচ্চা প্রসব করানো হয়। ১৫ ডিসেম্বর রিলিজ দেয়ার পর শিশুটি অসুস্থ্য হওয়ার পর ওই ক্লিনিকে ভর্তি করার পরে শিশুটির মৃত্যু হয়।
২০১৭ সালের ১ নভেম্বর লালপুর উপজেলার দুড়দুড়ি গ্রামের আলো খাতুন নামের এক প্রসূতির সিজার অপরেশনের কয়েক ঘন্টা পর নবজাতককে রেখে মারা যান। ২০১৬ সালের ১২ আগষ্ট জরায়ুর অস্ত্রোপচারের পর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের সনেকা বেগমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে পরের দিন তিনি মারা যান।
২০১৫ সালের ১৪ আগষ্ট হার্নিয়া অপরেশনের তিনদিন পর বাজুবাঘা ইউনিয়নের আহমোদপুর গ্রামের আজগর আলী মারা যান। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পানিকুমড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের স্ত্রী চাম্পা বেগমের সিজার অপরেশনের পর মারা যান।