কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপটনের সার্বিক সহযোগীতায় কাঠের ব্রীজ সংস্কার করা হয়।
সোমবার সকাল থেকে চাড়ালকাটা নদীর উপর নির্মিত সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল ইসলামের ঘাটে গত বছরের নির্মিত কাঠের ব্রীজের পুনঃসংস্কার কাজ শুরু করেন। গত বছরে ব্রীজটি নির্মানের পর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কিশোরগঞ্জ,পুটিমারী,বড়ভিটা,ইউনিয়নের মানুষ সহজ ভাবে ওই দিক দিয়ে পার্শ্ববর্তী তারাগঞ্জ হাটে যাওয়া আসা করতো। কিন্তু গত বছরেই বন্যার কারণে ব্রীজের উজান দিক থেকে আসা প্রবল স্রোতের কারণে ও কচুরী পানা ব্রীজে আটকে থাকার ফলে ব্রীজের নিম্নাংশে কয়েকটি খুটি ভেঙ্গে যায়। ফলে ওই ব্রীজ দিয়ে পন্যবাহী ভ্যান ও চার্জার অটো চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। বাহাগিলী চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে সেই কাঠের ব্রীজের সংস্কার কাজ শুরু করলে সাধারণ মানুষ চেয়ারম্যানের সাথে কাজে অংশ নিয়ে কাঠের ব্রীজের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেন। চেয়ারম্যান এলাকাবাসীর কাছ থেকে কিছু গাছ নেন। তার নিজস্ব জমির বাঁশ কেটে নিয়ে কাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে চাহিদানুযায়ী গাছ এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে দিয়ে দিলে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন হয়।
বাহাগিলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপটন বলেন, আমার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বাহাগিলী চেয়ারম্যানের ঘাটে ব্রীজ করে দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমি চেয়ারম্যান হিসাবে শপথ নেয়ার কিছুদিন পর এই কাঠের ব্রীজ করে দেই। ফলে প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ এই ব্রীজ দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। এখানে একটি ব্রীজ নির্মান করা হলে বাহাগিলী ইউনিয়নের মানুষের সাথে দুই উপজেলার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
এ ব্যাপারে নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,ব্রীজের জন্য আমি এলজিইডিতে কাগজ প্রেরণ করেছি। আশা করি দ্রুত সময়ে কাজটি হয়ে যাবে।