ডেস্ক নিউজঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিধবার ঘরে পরকীয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে পারভেজ নামের এক যুবক আটক হয়েছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত যুবক পারভেজকে গণ পিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করেছে জনসাধারন।
পারভেজ পৌরসভার বউসি চাদপুর গ্রামের হেলাল ফকিরের ছেলে।আমজনতার অভিমত স্থানীয় আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার গড়মে দীর্ঘদিন যাবৎ এমন অসামাজিক ও অনৈতিক কাজ করে আসছে। প্রতিবেশীরা দীর্ঘদিন যাবত তাদের সম্পর্কের বিষয়টি ফলো করে আসছিল।মঙ্গলবার রাত ১০ টার সময় মৃত তাজুল ইসলামের বিধবা স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় জনসাধারণ হাতেনাতে পারভেজকে আটক করে।
মঙ্গলবার(২০ ফেব্রুয়ারি)রাত ১০ টার সময় পৌর শহরের বাউসী চন্দনপুর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের বিধবা স্ত্রীর ঘরে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার বাউসী চন্দনপুর এলাকার হেলাল ফকিরের ছেলে এক সন্তানের জনক মো. পারভেজ মিয়া একই এলাকার মৃত তাজুল ইসলাম তাজুর (বিধবা) স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে।
এ ঘটনায় ওই বিধবা নারী দাবি করে বলেন, পারভেজ তার প্রতিবেশী এবং সম্পর্কে দেবর হয়। তার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর পারভেজ বিভিন্ন সময় প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পারভেজ আমার সম্মান নষ্ট করেছে। এখন আমাকে তার বিয়ে করতে হবে। তা না হলে আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারব না।
এদিকে অভিযুক্ত পারভেজ মিয়া বলেন, এ ঘটনা পরিকল্পিত এবং সাজানো। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে সে আমাকে ডেকে নিয়ে ঘরে আটকে রেখে চিৎকার করে। আমার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। আমি ওই নারীকে কখনোই বিয়ে করব না। প্রয়োজনে আমি জেল খাটব।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ মুশফিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,গতকাল রাতে বিধবা নারীর ঘরে সংগোপনে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। রুজুকৃত মামলায় আজ বিকেলে আদালতে আসামিকে সোপর্দ করা হয়েছে।