মইনুল হক মৃধা, রাজবাড়ীঃ
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তেল সংকটের কারণে বন্ধ থাকা এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালুর দায়িত্ব নিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোস্তফা মুন্সী।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এ ঘোষনা দেন।
আলাপকালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও হাসপাতাল ব্যাবস্হাপনা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা মুন্সী বলেন, স্বাস্থ্য সেবা মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ন।এ্যাম্বুলেন্স সেবা এর মধ্যে অন্যতম।
শুধুমাত্র তেল সংকটের কারনে এ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকবে এটা হতে পারে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যে কারনে জনস্বার্থে আমি ব্যাক্তিগত অর্থায়নে এ সার্ভিসটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাশাপাশি আমার ব্যাক্তিগত ব্যাবস্হাপনায় চালু থাকা অপর এ্যাম্বুলেন্সটিও যথারীতি চলবে।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফারসিম তারান্নুম হক,আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শরিফুল ইসলাম সহ স্হানীয় সাংবাদিকরা উপস্হিত ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তেলের বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৮ মাস ধরে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যত বন্ধ হয়ে আছে। এতে করে এলাকার সাধারন রোগী ও স্বজনরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন।
এ অবস্হার মধ্যে গত ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে নোটিশ আকারে এ্যাম্বুলেন্স সেবা সাময়িকভাবে বন্ধের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এতে করে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃস্টি হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে , হাসপাতালের একটি এ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য ১০ বছর আগে থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে বাৎসরিক ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। বিগত কয়েক বছরে তেলের দাম কয়েকগুন বাড়লেও এ খাতে বরাদ্দ বাড়েনি। অথচ বর্তমানে এ খাতে বাৎসরিক চাহিদা অন্তত ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এ অবস্হায় ফিলিং স্টেশনে ধীরে ধীরে বকেয়ার পরিমান বাড়তে থাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফারসিম তারান্নুম হক জানান, গত অর্থ বছর পর্যন্ত ফিলিং ষ্টেশনে তেল বাবদ প্রায় ৯ লাখ টাকা বকেয়া ছিল। চলতি অর্থবছরে ৩ লক্ষাধিক টাকার অধিক বকেয়া পরিশোধ করি। এখনো ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। আগামী জুনের আগে নতুন বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এ অবস্হায় ফিলিং ষ্টেশন কতৃপক্ষের চাপে এবং বকেয়ার পরিমান আর না বাড়াতে আমরা বাধ্য হয়ে এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রাখার নোটিশ জারি করি।
এ পরিস্হিতিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় এগিয়ে আসায় সমস্যার সাময়িক সমাধান হয়েছে। আগামী জুন মাসের বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ব্যাক্তিগতভাবে হাসপাতালের একটি এ্যাম্বুলেন্স চালু রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন। তার নিজস্ব অপর এ্যাম্বুলেন্সটিও হাসপাতালের প্রয়োজনে যথারীতি ব্যাবহৃত হবে। তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।