উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ সানজিদা খাতুন(৯) নামের এক শিশুর লাশ ৫ দিন পর ধানের জমি থেকে উদ্ধার করেছে সলঙ্গা থানা পুলিশ।এ ঘটনায় শিশুর সৎ বাবা শরিফুল ইসলাম ও প্রতিবেশী মামা হাসমত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অলিদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের একটি ধানের জমিতে পুতে রাখার ৫ দিন পর লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু আমশড়া গ্রামের মোঃশাহিন আলীর মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন অলিদহ গ্রামের মোঃনুরাল মিয়া ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম ও হানিফ শেখের ছেলে হাসমত আলী।
সলঙ্গা থানার ওসি মোঃ এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিন আলীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর শরিফুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। কিছুদিন পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।ঘটনার দেড়মাস আগে জরিনা স্বামীর সংসার ছেড়ে বাবার বাড়ীতে চলে আসে।স্বামী শরিফুল তার স্ত্রী জরিনাকে সংসারে ফিরিয়ে আনতে সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমত আলীর দারস্থ হয়। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আন্তে তারা পরিকল্পিত ভাবে জরিনার মেয়ে সানজিদাকে অপহরন করে। ১০ ফেব্রুয়ারী মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে সানজিদাকে অপহরনের চেষ্টা করে। মেয়েটি ঘটনার এক পর্যায় চিৎকার করে। এ সময় মেয়েটির গলা চেপে ধরে হত্যা করে। পরে লাশটি পাশের জঙ্গলে ফেলে চলে যায়।লাশ গুমের উদ্দেশ্যের ঐ রাতে পাশের ধানের জমিতে গর্ত করে পুতে রাখে।মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার পর সানজিদা বাড়ীতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া যায়নি।পরের দিন ১১ ফেব্রুয়ারী নানা জহুরুল ইসলাম সলঙ্গা থানায় সাধারন ডায়েরি করেন।
তিনি আরোও জানান সাধারন ডায়েরি করার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৎ বাবা শরিফুল ইসলাম ও মামা হাসমত আলীকে গ্রেপ্তার করে।এ সময় সানজিদকে হত্যার কথা তারা স্বীকার করে।তাদের তথ্যমতে ধানের জমিতে পুতে রাখা সানজিদার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।