মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত এবং সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংর্ঘষে আহত পাভেল মিয়া (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ঢাকা’র একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। সে মধ্য বেজড়া গ্রামের মাতব্বর মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন, বেজুড়া গ্রামে খুর্শেদ আলীর ছেলে মারুফ মিয়া (৪৫) ও সেলিম মিয়ার ছেলে ফয়সল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে মাধবপুর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়-উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন দক্ষিন বেজুড়া গ্রামের মৃত কিফত আলীর ওয়ারিশ হাজী আসকর আলী ও দুলাল মিয়া গংদের কাছ থেকে ৭/৮ মাস আগে একটি জমি ক্রয় করেন। অপর দিকে ওই জমি একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক মিয়ার সন্তানেরা নিজেদের দাবি করে ভোগ-দখল করে আসছে।
শনিবার সকাল ৯ টার সময় মাসুদ খানের লোকজন ওই জমিতে ধান রোপন করতে গেলে মৃত বারেক মিয়ার ওয়ারিশগণ ধান রোপণে বাধা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বাধঁলে মহিলা সহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়। গুরুত্বর আহত মুর্শেদ মিয়া (৪৫), সুমা আক্তার (২৪),আব্দুল হামিদ (৩০), সফিক মিয়া (৪০),পায়েল মিয়া (৩০), মারফতউল্লাহ (৩৫), আউস মিয়া (৪২), জসিম মিয়া (২৪), দুলাল মিয়া ( ২৫), শিমুল মিয়া (৩০), জাকারিয়া (২৩), শামীম মিয়া (২৭), তাহের মিয়া (৬৫), মাসুদ রানা (৪০), জালাল মিয়া (৩২), খোকন মিয়া (৪৭), আয়েদ আলী (২৬), আলমগীর (২৭), রফিক মিয়া (২৮),জসিম মিয়া (২৭), করিম মিয়া (৩০),শাহজাহান মিয়া (২৫),মিজান মিয়া (২৬), সাইফুল ইসলাম (২০),ইজাজুল (২৪), সফিক মিয়া (২৯), আশিক মিয়া (২৮),সামসুউদ্দিন (৩০), সাইফুল (২৯)কে চিকিৎসার জন্য মাধবপুর,হবিগঞ্জ,ঢাকা ও সিলেট উসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় কয়েকটি বাড়ীতে হামলা পাল্টা হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। মাধবপুর থানার অফিসার ইনার্চাজ(ওসি)মোঃ রাকিবুল ইসলাম খাঁনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। গভীর রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে গুরুত্বর আহত পাভেল মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন,বেজুড়া গ্রামের খুর্শেদ আলীর ছেলে মারুফ মিয়া (৪৫) ও সেলিম মিয়ার ছেলে ফয়সল মিয়া (২৫) কে মাধবপুর থানা পুলিশের সদস্যরা গ্রেফতার করেছে। থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ রাকিবুল ইসলাম খাঁন জানান বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মাসুদ খানকে প্রধান আসামী করে ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০/৭০জনের বিরুদ্ধে নিহত পাবেলের চাচাতো ভাই হামিদ মিয়া বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।