বাঘা প্রতিনিধি:বাঘা উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। এগুলো হলো উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকার ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোতনশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ই ভোটকেন্দ্র হলেও জোতনশী বিদ্যালয়ের আগুন লাগার ভবনটি পরিত্যক্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতের কোনো এক সময়ে উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আসবাব পুড়ে গেছে। এর মধ্যে আড়ানী পৌর এলাকার ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আসবাবসহ শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গেছে। অন্যদিকে জোতনশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে থাকা আসবাবও পুড়েছে।
ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরাদ আলী বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর বিদ্যালয়ের প্রহরী ফোন দিয়ে ভবনে আগুন লাগার কথা জানান। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেখানে ছুটে যান। বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় ও আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। এতে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষের ১৫টি চেয়ার, টেবিল, আলমারিসহ আসবাব পুড়ে গেছে। এর মধ্যে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও আছে। তিনি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক বলেন, অনেকেই বলছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হতে পারে। কিন্তু তিনি সেখানে গিয়ে পেট্রলের আলামত পেয়েছেন। আর ওই কক্ষের পেছনের জানালার গ্রিল বাঁকানো আছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো দুষ্কৃতকারী আগুন দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করবেন। তিনি আরও বলেন, আজকের মধ্যেই সবকিছু ঠিকঠাক করা হবে। প্রশাসন বলেছে, ‘ভোট গ্রহণে কোনো সমস্যা হবে না।’
অন্যদিকে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোনতশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী মেহেদী হাসান বলেন, তিনি ভোরে আগুন লাগার বিষয়টি টের পান। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে অবহিত করেন। ভবনটি দীর্ঘদিন ধরেই পরিত্যক্ত। এ সময় ভেতরে থাকা কিছু আসবাব পুড়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা পেছনের জানালা দিয়ে আগুন ধরাতে পারে। সকালে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসেছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আড়ানীর ঘটনায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা সেখানে যান। তবে সেখানে এমন আলামত পাননি। এটা নাশকতাও হতে পারে। আর পাকুড়িয়ায় পরিত্যক্ত বিদ্যালয় ভবনে আগুন দেওয়া হয়। ওই ভবনের পেছন দিক থেকে কেউ আগুন দিয়েছিল বলে ধারণা ওসির। ভবনটি ভোটকেন্দ্র না বলে তিনি জানান