আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা। তবে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাল্টা পাল্টি আক্রমণাত্মক বক্তব্যে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সমর্থকদের কাছে। আর এমন অবস্থা সৃস্টি হয়েছে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মাঝে।
নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই ঠাকুরগাঁও-২ আসনের আ.লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সুজন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক মার্কা) সদ্য পদত্যাগকৃত উপজেলা চেয়ারম্যান ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম জুয়েলের সমর্থকগন নির্বাচনী সভায় একে অপরকে হুমকি প্রদান করছেন।
এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় নিজ দলের নির্বাচনী প্রচারের সময় ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়েও আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন এই দুই প্রার্থী।
উভয় প্রার্থীর আক্রমণাত্মক বক্তব্য এরই মধ্যে ফেইসবুকে ছড়িয়েছে যা হুবহু তুলে ধরা হলো।
নৌকার প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সুজন নির্বাচনী প্রচারনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সময় থাকতে সাবধান হয়ে যাও। তোমার যদি সাহস থাকে তাহলে নিজেই ইলেকশন করো। তোমার কোন নেতা নাই, একটা নিছো তাংকুখোর, জামায়াতের লোক, বিএনপির লোক আর আওয়ামীলীগের কিছু লোক নিয়ে তুমি স্বতন্ত্র প্রার্থী দাড়ায়ছো। তোমার দৌড় কতদূর দেখবো। এখনো সময় আছে সাবধান হয়ে যাও।
যুবলীগকে সে কুক্ষিগত করে রেখেছে। যুবলীগ যদি সে না করতো তাহলে উপজেলা নির্বাচন তো দুরের কথা চকিদারও হতে পারতো না। তোমার বাপের যা টাকা আছে আমার বাপেও তা টাকা আছে। কিন্তু তুমি পাশ করেছে রুহিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে আর আমি পাশ করেছি কলকাতা থেকে। আমার কাছে তোমার তুলনা চলবে না। তুমি কে তা আমি জানি।
স্বতন্ত্র প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, আমি সুজন তুমি ভুলে যেওনা। আমি এখনো আমার ভদ্রতা বজায় রেখে কথা বলছি। আমার সাথে চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বললে ছাড় দিবো না। এটা আওয়ামী লীগের সংগঠন, বঙ্গবন্ধুর সংগঠন, শেখ হাসিনার তোমার বাবার সংগঠন না।
অপরদিকে ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসিলাম নৌকার প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নৌকার প্রার্থী বড় বড় কথা বলেন তিনি যখন কলকাতা থেকে বাড়িতে আসে তখন আমার পরিচয়ে পরিচিত হয়েছে। সে বড়দের সন্মান দিতে জানে না। শুধু তাই নয় সে তার বাবার পরিচয় দিয়ে চলে। তার বাবা এমপি ছিলেন তাই। তার সমর্থকরা প্রকাশ্যে হুমকি দেয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট করলে তাকে নাকি দেখে নিবে। এসব হুমকি ধামকি কাজ হবে না। কারো গায়ে আচর পরলে তাকে দেখে নেয়া হবে। তাই সাবধান হতে বলেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা রির্টানিং কর্তকর্তা ও জেলা প্রশাসক মাহবুবর রহমান বলেন, নির্বাচনী পরিস্থিতি যেভাবে ভাল থাকে সে অনুযায়ী আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করবে। প্রশাসন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।
Post Views: 119