রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৪ অপরাহ্ন

রাণীশংকৈলে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও বালু’ ব্যবহারের অভিযোগ।

আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ / ২০৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩

ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার একটি নতুন রাস্তা নির্মাণে নির্ন্মমানের ইট ও রাবিশ বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
 ইটভাটার পরিত্যক্ত, ভাঙ্গাচোরা, সাল্টি, গড়েয়াসহ নির্ন্মমানের ইট দিয়ে খোয়া করে রাস্তার সাব ব্যাচে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কম দামের রাবিশ বালু দিয়ে রাস্তার সাব ব্যাচ তৈরী করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটি মাটি খনন করে তাতে সাব ব্যাচের জন্য খোয়া ও রাবিশ বালু দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় চাপোড় পার্বতীপুর দাখিল মাদ্রাসার মাঠে ইটের স্তুপ করে সেখানেই খোয়া ভেঙ্গে রাস্তায় দেওয়া হচ্ছে। ইটের স্তুপে দেখা যায়, ভাটার যত ভাঙ্গাচোরা,গড়েয়া পরিত্যক্তসহ নির্ন্মমানের ইট রয়েছে সেগুলো সেখানে স্তুপ করা হয়েছে। সেখান থেকেই ভাঙ্গা হচ্ছে খোয়া।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুব আলম বলেন,দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর একটি পাকা রাস্তা পেতেঁ যাচ্ছি। অথচ ভাটার যত ময়লা ইট আছে সেগুলো খোয়া করে রাস্তায় দেওয়া হচ্ছে। ভাটার যত পরিত্যক্ত ইট এখানে খোয়া হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে।
আরেক বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, এক টলি বালু’র দাম কমপক্ষে বর্তমান বাজারে এক হাজার পাচঁশত টাকা। আর এক ট্রলি রাবিশ বালু পাঁচ থেকে সাতশত টাকা। তাই ঠিকাদার বালু’র বদলে রাবিশ বালু দিয়ে একদিকে যেমন সরকারের টাকা আত্মসাত করছেন।
অন্যদিকে সরকারের উন্নয়ন মুলক কাজেও ব্যঘাত ঘটাচ্ছেন। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, রাবিশ বালু প্রায় মাটির মত। এই রাস্তায় রাবিশ দিয়ে রোলার করার পর মাটির মত শক্ত হয়ে গেছে। সেখানে পানি দেওয়া হলে কাদাঁ হয়ে যায়। বালু কি কখনো কাদাঁ হয়। তারা বলেন এভাবে রাস্তা নির্মাণ করলে রাস্তাটি তাদের মতে বেশিদিন ভালো থাকবে না। তারা দাবী জানিয়েছেন সঠিক নিয়মে যেন রাস্তাটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন  চাপোড় পার্বতীপুর মাদ্রাসা থেকে পার্বতীপুর লেহেম্বা সুইচগেট  প্রযর্ন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ প্রায় এক কোটি ৯লাখ ৩৪ হাজার ৯৩৩ টাকায় কাজটি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এম এস অটো রাইস মিল নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
এ প্রসঙ্গে এম এস অটো রাইস মিল নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার আব্দুস সামাদ মুঠোফোনে বলেন, ইট,বালু ভালো মানের দেওয়া হচ্ছে। সেখানে কোন ধরনের নির্ন্মমানের মালামাল নেই।
উপজেলা প্রকৌশলী মাঈনুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান, নির্ন্মমানের ইট বা বালু ব্যবহার হলে সেগুলো সেখান থেকে অপসারণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর