গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী গতিশীল নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধর সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, শেখ হাসিনা জয়লাভ করলে আপনি জয়লাভ করবেন, আপনার ছেলে, মেয়েসহ এলাকার উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। গোদাগাড়ীর এমন কোনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ১৫ বছরে যা উন্নয়ন হয়েছে শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হলে আগামী ৫ বছরে এধরনের উন্নয়নে করা হবে। শুধু মাত্র গত ১৫ বছরে গোগ্রাম ইউপিতে ৬১৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকার উন্নয়ন করা হয়েছে। গরুর মাংশ ৮ শ টাকা কেজি সাবই সপ্তাহে ৩/৪ গরুর মাংশ খেতে পারছে। কিন্ত বিএনপি জামায়াতের আমূলে ১৫০ টাকা কেজি গরুর মাংশ ছিল কিন্তু সপ্তাহে একদিনও খেতে পারেন নি। যেখান আগে একটি গরু জবাই করে মাংশ বিক্রি করতে সন্ধ্যা হয়ে যেত। এখন সেখানে ৬/৭ গরু জাবাই করে দুপুরে আগেই মাংশ বিক্রি হয়ে যায়। দৃশ্যেমান হয়েছে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধান মন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে হবে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে বর্তমান সরকারের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি এসব কথা বলেন।
আজ ১১ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১ টার সময় গোগ্রাম স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে গোগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ১ আসনের এমপি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুর চৌধুরী।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুর রশিদের সঞ্চলনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব অয়জুদ্দিন বিশ্বাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন মিলি, অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহকারি প্রচার ও প্রকাশনা বিষায়ক, কাষ্টম গোয়েন্দা রাজশাহীর সবেক সহকারি পরিচালক সুনন্দন দাস রতন, প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারী প্রমূখ।
দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাসের জন্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয়সরকার, যোগাযোগ, বিদ্যুৎসহ সর্বক্ষেত্রে বাপক উন্নয়ন হয়েছে, এসব উন্নয়ন দেখে কিছু কুচক্রী মহল দেশে বিদেশে গুজব ছড়াচ্ছে। সব গুজাবে কান দিবেন না। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে
ওমর ফারুক চৌধুরী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশ ও জনগনের জীবনমান উন্নয়নের সঠিক তথ্য প্রচার ও মাদকমুক্ত গোদাগাড়ী উপজেলা গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
ওমর ফারুক চৌধুরী সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন, শুধু দেওপাড়া ইউনিয়নে ৪৭ হাজার ৬ শ ৯২ জন উপকার ভোগি প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা ভাতা পেয়েছেন। আপনাদের পেছনে বর্তমান সরকার অনেক অবদান আছে। আপনারা সুখী আছেন এর পেছনে শেখ হাসিনার সরকারের অবদান আছে। সাড়ে ১৪ বছরে শিক্ষায় ৬ শ ৩৬ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন করেছি, নতুন ভবন নির্মান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর মাঝে ৮০ কোটি ২৩ লাখ টাকার উপবৃত্তি দেয়া হয়েছে।
সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৮ টি ভবন নির্মান করা হয়েছে এতে ব্যয় হয়েছে ২০৯ কোটি টাকা, সংস্কার কাজ হয়েছে ৩৪৭ কোটি টাকা, নতুন বই বিতরণ করে হয়েছে ৮০ লাখ ২৮ হাজার টি বই। কম্পিউটার ল্যাবে ব্যয় হয়েছে ৯০ লাখ ৮১ হাজার টাকা। শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫৩৫ টি বাইসাইকেল বিতরন করা হয়ে। তিনি আরও বলেন, এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে বিএনপি জামায়াতের শাসন মূলে বিদ্যুৎ পেয়েছে ৩৬ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকায় বসে ভিসানীতির প্রতিবাদ করেছেন। আর ফকরুল সাহেব আমাদের ভিসানীতির ভয় দেখাচ্ছেন। তারা বিদেশীদের হাত ধরে ক্ষমতায় আসতে চাই। দেশকে তালেবান, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিনত করতে চাই। তাদের সে ইচ্ছা কোন দিনই পূরণ হবার নয়। খালেদা জিয়া মামলায় দন্ডিত, তারেক জিয়া পালাতক, ফেরারী আসামী তাদের দল ক্ষমতায় আসলে কে হবে প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে গেছে।
আগামী দিনে আবারও তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে স্মার্ট বাংলাদেশ পরিণত হবে এবং সুখি রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তাই আগামী দিনে আপনাদের কাজ হবে সরকারকে সহযোগী করা। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরা ও নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধান মন্ত্রীকে পুনরায় ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে।
আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে দেশে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, বিদেশে ধর্না দিচ্ছেন কিন্তু কোন লাভ হবে না। শেখ হসিনার অধীনে সংসদ নির্বাচন অনু্ষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনা আবার যদি প্রধান মন্ত্রীর চেয়ারে বসতে পারেন তবে এখানে মিনি স্টুডিয়াম করে দেয়া হবে। আমি ফারুক চৌধুরী যা বলি তাই করি অতীতে যা কথা বলেছি তা পূরণ করেছি।
২০১৫ ইং সালের পর স্কুল, কলেজ, মাদ্রায় যত শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে, সবাই প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বদলাতে আপনাদের চাকুরী হয়েছে, কর্মসংস্থান হয়েছে। আপনাদের দোয়া নিয়ে আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে দেশ রত্ন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবেন। নির্বাচন নিয়ে জামায়াত বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
তিনি বাল্য বিয়ে, যৌতুক, মাদক, জঙ্গিবাদ, সরকারের উন্নয়ন, সাফল্য নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, মেধা ১ ভাগ আর পরিশ্রম হচ্ছে ৯৯ ভাগ, যারা এ কাজটি করতে পারবে তারা জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবে। পড়া লিখার পাশাপাশি, সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহনে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন।