বিএনপির নামে করা মিথ্যা মামলা ও গণগ্রেফতার বন্ধে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি বিবৃতি দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. দবিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একদফা আন্দোলনের মহানায়ক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র সন্মানিত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যার, জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সম্প্রতি আটক সকল কেন্দ্রীয় ও ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি এস এম সফিকুল ইসলাম, পাড়িয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহীন আলম মিলার, আমজানখোর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম মানিক, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ আবু সায়েদ, ধনতলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাজিরুল ইসলাম, ধনতলা ওয়ার্ড বিএনপির নেতা শরিফউদ্দীন, বিএনপি’র ওয়ার্ড নেতা মিঠু,আব্দুল ওহাব ও আনোয়ারসহ আটককৃত সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ড.টি.এম মাহবুবর রহমানের আদেশক্রমে বিবৃতি প্রদান করছি।
বিগত নির্বাচনের ন্যায় এবারেও নির্বাচনের পূর্ব মূহুর্তে সৃষ্ট গায়েবি মামলার অবতারণা করে নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত বাড়িছাড়া করার অপচেষ্টা চলছে। যা গণতন্ত্রে, সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির পরিপন্থী এবং ২০১৪ সালের একতরফা ও ২০১৮ সালের নৈশ ভোটের মতো আরেকটি প্রহসনের ভোট গ্রহনের পূর্বাভাস। এহেন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
সকলের মনে রাখা উচিৎ, যেকোন ফ্যাসিবাদী সরকার জনগনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারেনা। তাই গণবিরোধী অপতৎপরতা পরিহার করে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে হাঁটাই সমীচীন। নইলে গণরোষ বিশ্ব ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেবে। যেটা কারোর জন্যই শুভকর হবেনা।
অন্যদিকে বিএনপিসহ সকল অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকগণকে অত্যন্ত ধৈর্য্যের সহিত পরিস্থিতি মোকাবেলার আহবান জানানো যাচ্ছে।