রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে যথাযোগ্য মর্যাদায় জেল হত্যা দিবস-২০২৩ পালন করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর আওয়ামী লীগের জাতীয় চারজন নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মুহাম্মদ মুনসুর আলী, ও আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি স্মরণার্থে এ দিবস পালন করা হয়।
শুক্রবার( ৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামে জাতীয় চার নেতার স্মরণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার (এম.পি)।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আব্দুর রউফ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ(অবঃ) মোতাহার রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল হক লিপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আকবর আলী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদনা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল মান্নান, অধ্যক্ষ(অবঃ) মজনুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল্লাহ ফকির, তপন কুমার গোলদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, শেখ নুরুল আমিন,গাজী আক্তারুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা আরাফাত হোসেন কচি,শেখ জালাল উদ্দীন দুলাল, হাওলাদার জুলফিকার আলি ভুট্টো,বিচিত্র বীর্য পাড়ে, শেখ শরিফুল ইসলাম, নিখিল রঞ্জণ চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী সভার সবচাইতে ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক সদস্য হিসেবে পরিচিত তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ এবং বঙ্গবন্ধুর দুই খুনি কর্নেল (বহিস্কৃত) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (বহিস্কৃত) খন্দকার আব্দুর রশীদ জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার এ পরিকল্পনা করেন। এ কাজের জন্য তারা আগেভাগে একটি ঘাতক দলও গঠন করে। এ দলের প্রধান ছিল রিসালদার মুসলেহ উদ্দিন। সে ছিল ফারুকের সবচেয়ে আস্থাভাজন। ১৫ আগস্ট শেখ মনির বাসভবনে যে ঘাতক দলটি হত্যাযজ্ঞ চালায় সেই দলটির নেতৃত্ব দিয়েছিল মুসলেহ উদ্দিন। বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে জাতির জনককে তাঁর ঐতিহাসিক ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। পরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের সমধিক পরিচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুসহ এ জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
Post Views: 100