ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন একটি নতুন সড়ক নির্মাণে অনিয়ম করার অভিযোগে সেই সড়কের নির্মাণ কাজ আটকে দিয়েছেন ওই এলাকার বাসীন্দারা।
উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধারই খুটিয়াটলি খেড়বাড়ী হতে বনগাঁও স্কুল পপর্যন্ত কাঁচা সড়কে এ নির্মাণ কাজ চলছে। উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ৫৭০ মিটার নতন সড়ক নির্মাণের কাজটি ৫৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯১ টাকায় চুক্তি বদ্ধ হয়েছে ঠাকুরগাঁও ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম রুমান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রাস্তায় বালু’র বদলে রাবিশ মাটি বালু, নিন্ম মানের ইটের খোয়া দিয়ে সাব-ব্যাচের কাজ সম্পূর্ণ করা । বালু ফিলিং এ রাবিশ বালু ব্যবহার করা ও সর্বশেষ বর্তমানে সড়কের দুই ধারের এজিং এ নিন্মমানের ইট ব্যবহার করার অভিযোগে বার বার উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও ঠিকাদারকে কাজের অনিয়মের কথা বলেও কোন লাভ না হওয়ায় স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে সড়ক নির্মাণ কাজ আটকে দিয়ে।সড়ক নির্মাণ শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ কবির জানান, দীর্ঘদিন পর নতুন সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। তবে কাজটি ভালো হচ্ছে না। রাবিশ বালু দিয়ে খোয়া বিছিয়েছে। এখন আবার তিন নাম্বার ইট দিয়ে এজিং দিচ্ছে। আরেক বাসিন্দা বাহাদুর রহমান বলেন, রাস্তার সাইডে এমন ইটের এজিং দিচ্ছে যা একটি মোটরসাইকেলের চাকা দিয়ে বেশি আঘাত পেলেই ভেঙ্গে যাবে। ইটে ইটে আঘাত দিলে ইট ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যাচ্ছে। সবুর নামে একজন বলেন, বালু’র বদলে রাবিশ বালু মাটি সাব ব্যাচে ব্যবহার,ঠিক মত রোলার না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেও প্রতিকার না পাওয়ায় কাজ আটকে দিয়েছে এলাকাবাসী।
সেখানেই কথা হয় সড়ক নির্মাণ শ্রমিক সাইদের সাথে তিনি বলেন, এলাকার লোকজন রাস্তার কাজ খারাপ হওয়ার কারণে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই কাজ বাদ দিয়ে মাহাজনের অপেক্ষায় বসে রয়েছি। আরেক নির্মাণ মিস্ত্রি রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু ইট খারাপ আছে। তবে এলাকার লোকজন কাজ না করতে দিলে আমরা কাজ করবো না।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তদারককারী সাজু ইসলাম বলেন, ইট তো খারাপ হওয়ার কথা না। যদি খারাপ হয় তাহলে ইট পরির্বতন করা হবে।
ওই সড়কের কাজ তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা এলজিইডির সার্ভেয়ার আলী হোসেন বলেন, ইট খারাপ হলে ঠিকাদারকে পরির্বতন করতে বলা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মাঈনুল ইসলাম বলেন, ওই ঠিকাদারের কাজটি নিয়ে খুব বিপদে আছি, ওই এলাকা(বনগাঁও) থেকে প্রায় দশজন মানুষ কাজের অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) ফোন দিয়েছে। কাজের বিষয়টি গুরত্ব সহকারে দেখা হবে।