৩১ জুলাই সোমবার বিকাল ৪.০০ টায় উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের হুড়কা ঝলমুলিয়া দীঘির পাড়ে সুজন পরিবার কর্তৃক অত্যাচারিত সাধারণ জনগণ এ মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে।
মানববন্ধন থেকে বলা হয় যে, মৃত সুজিত মজুমদারের স্ত্রী কল্পনা মজুমদার ও মৃত মনিমোহন মজুমদারের পুত্র ইন্দ্রজিৎ মজুমদার দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর যাবৎ আপোষ বন্টন মতে একটি জমি ভোগ দখল করে আসছে। কিছুদিন পূর্বে গঙ্গাধর মজুমদার ও সুজন মজুমদার ঐ জমি তাদের বলে দাবী করে। এর পরেই জোর পূর্বক ১৯ জুলাই গঙ্গাধর মজুমদার , সুজন মজুমদার ও তার পরিবার মিলে ভূক্তভোগীদের জমির গাছপালা কেটে ফেলে ও জমি দখল করে নেয়।
বিষয়টি তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালেও কোন সমাধান না হওয়ায় একই তারিখে রামপাল থানায় ইন্দ্রজিৎ মজুমদার বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গঙ্গাধর ও সুজন গং থানার নির্দেশনা অমান্য করে ( ৩০ জুলাই ) আবারও গাছপালা জোর পূর্বক কেটে নেয় ও তাদের ভোগ দখলীয় জমি দখল করে নয়।
গঙ্গাধর ও সুজন মজুমদার পিতৃহীন অসহায় সজিবের জমিও জবরদখল করে নিয়েছে বলে মানববন্ধনে উপস্থিত ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন। ইন্দ্রজিতের পিতা মনিমোহনের মৃত্যুর পর তাদের দলিল সুজনদের কাছে ছিল। তারা ইন্দ্রজিতের সম্পত্তি গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে বলে মানব বন্ধনে অভিযোগ করেন ইন্দ্রজিৎ। গঙ্গাধর মজুমদার ও সুজন মজুমদার ভুয়া দলিলের মাধ্যমে কল্পনা ও ইন্দ্রজিত মজুমদারের জমি জবরদখল করে নিয়েছে বলেও জানানো হয়।
এছাড়া গঙ্গাধর ও সুজন পরিবার জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা আটকে দিয়ে দখল করে নিয়েছে বলেও মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সন্ধা মন্ডল জানান যে,গঙ্গাধর মজুমদার ও সুজন মজুমদার নানা ধরনরে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে। মানববন্ধনে উপস্থিত অত্যাচারিত সাধারণ জনগণ গঙ্গাধর মজুমদার ও সুজন মজুমদারের পরিবারের অত্যাচারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। পাশাপাশি এদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও জোর বাদী জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য সুপ্রকাশ বিশ্বাস, পার্থ প্রতিম বিশ্বাস, কল্পনা মজুমদার, সজীব মজুমদার, সন্ধা মন্ডল, উর্মিলা মজুমদার, শান্তি বিশ্বাস। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য অরূপ কীর্তুনিয়া, ইউপি সদস্য গোপেশ্বরী বাছাড় সহ এলাকার শতাধিক নিযাতিত নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।