এ সময় শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি, ভূনবীর দশরথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ঝলক কান্তি চক্রবর্তী’র সভাপতিত্বে ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আখতার হোসেন এর যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশ, বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিষ মজুমদার, শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আবদুল ওহাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালিদ মোঃ আব্দুল বাছিত, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী, হুগলিয়া হাজী মনসব উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল হাসান, সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ দত্ত, প্রধান শিক্ষক সমিতি শ্রীমঙ্গলের সভাপতি ও কাকিয়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নোমান আহমেদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম শ্রীমঙ্গলের সভাপতি ও বেগম রাসুলজান আ: বরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমান বর্ধন, মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন রক্ষিত, মনাই উন্না আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌমেন্দ্র দাশ, ধোবার হাট বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃপেশ দেব, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নূরুল হক-সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ প্রমুখ।
শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নেতারা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পার হলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক সমাজের বঞ্চনা আর বৈষম্যের অবসান হয়নি। সকল বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের বিকল্প নেই। যদিও শিক্ষক সংগঠনগুলোর মতানৈক্যের কারণে শিক্ষক সমাজে হতাশা বিরাজ করছিল। জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে সকল শিক্ষক সংগঠন এক ছায়াতলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীনে একই সিলেবাসের কাজে নিয়োজিত থেকেও
আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড় সমান বৈষম্য। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া বিগত কয়েক বছর যাবত অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ৪ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। জাতীয়করণ না করা পর্যন্ত শিক্ষকরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে অব্যাহত রাখারও হুশিয়ারি দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষক নেতারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের মাধ্যমে আমাদের দাবী মেনে নিন।
তারা আরো বলেন, আমাদের এক দফা এবং দাবি একটিই আমাদের জাতীয়করণ করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রতিদিন রাজপথেই আন্দোলন চালিয়ে যাব। এমনকি যতদিন পর্যন্ত দাবি মেনে নেয়া না হয়, ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।