রাণীশংকৈলের যুবক প্রবাসে ছুড়িকাঘাতে মৃত্যুশয্যায়- দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে পরিবার।
মোঃ আনোয়ার হোসেন আকাশ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
সময়
রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩
১৮১
বার দেখেছেন
সাউথ আফ্রিকায় যুবকের ছুড়িকাঘাতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল ইসলাম (৩৫) নামে এক প্রবাসী। তাঁর বাড়ী রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের কাউন্সিল বাজার এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মোতালেব হোসেনের ছেলে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সাড়ে ৮টায় সাউথ আফ্রিকার পর্যটন নগরীর কেপটাউনে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ৪০ মিনিট পর স্থানীয়রা রবিউলের সহকর্মীদের খবর দিলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
এদিকে ছেলের এমন খবরে কেদে বুক ভাসাচ্ছেন মা। আর স্বামীর এমন অবস্থার কথা জানার পর মুখ থেকে কথাই বের হচ্ছে স্ত্রী রুবি আক্তারের।
প্রবাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রবিউল ইসলাম
আহত রবিউলের ভাই রমজান আলী অভিযোগ করেন, তার ভাইয়ের আশ্রয়ে থাকা সুজন (৩৮) নামে এক যুবক তাকে ছুরিকাঘাত পরে পালিয়ে গেছেন। ঘাতক সুজনের বাড়ী ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা নেকমরদ ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামে। সে ওই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে বলে জানান তিনি।
রবিউলের স্ত্রী রুবি আক্তার জানান, ৪ বছর আগে জীবিকার তাগিদে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে বিদেশে যান রবিউল। শুরুতে দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করলেও এখন নিজেই গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কয়েকদিন আগে ওই দেশে গিয়ে বিপাকে পড়েন প্রতিবেশী সুজন নামে ওই যুবক। সুজনের বাবা মোবাইলে রবিউলকে অনুরোধ করলে হেলিকাপ্টার ভাড়া করে সুজনকে নিজের কাছে এনে ঠাই দেন রবিউল। স্থানীয় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হয় সুজনকে।
ঘাতক সুজন
তবে সুজন নিয়মিত কাজ না করে সেখানে ফাকি দিচ্ছিলেন। একই সাথে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই বিষয়ে মোবাইলে সুজনের বাবাকে অবগত করেন রবিউল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউলকে হত্যাচেষ্টা চালায় সুজন।
রবিউলের সাথে থাকা আরেক প্রবাসী রিপন মুঠোফোনে জানান, সাউথ আফ্রিকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুজন। সেখানে গতকাল রাতে তার জটিল অপারশেন হয়েছে। চিকিৎসক বলেছে রবিউলকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এখবর লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনি এবং দেশে পরিবারের সাথে কারো কথা হয়নি রবিউলের।
এ ঘটনায় সুজনকে ধরতে প্রবাসীদের সহযোগিতা চেয়েছেন রবিউলের ভাই রমজান আলী। একই সাথে ভাইয়ের খোঁজ খবর রাখতে অনুরোধ করেছেন সাউথ আফ্রিকায় থাকা প্রবাসীদের নিকট।