রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন

বেলকুচিতে সভাপতি-ব্যাংক ম্যানেজারের যোগসাজশে অধ্যক্ষসহ ৪ জনের বেতন ভাতা বন্ধ।

সবুজ সরকার,বেলকুচি(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ / ১০২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও সোনালী ব্যাংকের ক্ষিদ্রমাটিয়া শাখা ব্যাবস্থাপক মাকসুদুল হক রাসেলের যোগসাজশে অধ্যক্ষসহ ৪ জনের বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারছে এমন অভিযোগ উঠেছে।

গভর্নিং বডির সদস্য ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষ সাথে দীর্ঘ দিন ধরে দন্দ্ব চলে আসছে। আর এই দন্দ্বে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মাসুদ রানাকে বেআইনী ভাবে অব্যহতি দিয়ে উপাধ্যক্ষ কে,এম খালেকুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন।

পরে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা অব্যাহতি বেআইনী ঘোষনা চেয়ে বিজ্ঞ বেলকুচি সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীত্বে উক্ত আদেশের ব্যাপারে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা মহামান্য হাইকোর্ট সিভিল রিভিশন ৫০৬/২৩ নম্বর মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় মহামান্য হাইকোট দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ পদের ব্যাপারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য গভর্নিং বডির সভাপতিকে আদেশ প্রদান করেন।

এরপর থেকে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়। গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও সোনালী ব্যাংকের ক্ষিদ্রমাটিয়া শাখা ব্যাবস্থাপক মাকসুদুল হক রাসেলের যোগসাজশে কাটা ও ফ্লুইড রেজুলেশন তৈরি করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের স্বাক্ষরে তাদের অনুসারী শিক্ষকদের বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। আর অধ্যক্ষ মাসুদ রানা, ল্যাব সহকারী শরিফুল ইসলাম, প্রদর্শক তন্ময় কুমার শীল ও প্রভাষক উম্মে রুমানের জুন মাসের বেতন ভাতা বন্ধ করে রেখেছেন।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা জানান, উচ্চ আদালতের আদেশকে উপেক্ষা করে সভাপতি যে কাজ করছেন সেটা যেমন অমানবিক তেমনি আদালতের রায়ের স্পষ্ট লংঘন পাশাপাশি পেশী শক্তির চরম অপব্যবহার।

পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা জানান, অধ্যক্ষ ও সভাপতির দন্দ্বের কারনে সুপ্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম চরমভাবে নষ্ট করেছেন এবং তারা এই প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক ক্ষিদ্রমাটিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মাকসুদুল হক রাসেল জানান, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও ভারপাপ্ত অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত কাগজে যাদের নাম ছিল তাদের বেতন ভাতা দেওয়া হয়েছে। তবে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি লিগ্যাল নোটিশ পেয়েছি। তবে নির্দেশনাটা অস্পষ্ট। কলেজের রেজুলেশনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।

এবিষয়ে ঐ কলেজের উপাধ্যক্ষের নিকট অন্যান্য শিক্ষকদের বেতনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতি বছর জুন মাসে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর দিতে হয়, তাই যারা অঙ্গীকারনামায় সাক্ষর করেনি তাদের বেতন হয়নি।

এব্যাপারেগ ভর্নিং বডির সভাপতির সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর