নীলফামারীর ডিমলায় চলাচলের রাস্তা কেটে দখলের অভিযোগ উঠেছে হামিদার রহমান নামের এক ব্যক্তি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এতে জমির মালিকসহ আশপাশের কয়েকটি পরিবারের শতাধিক মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ নিয়ে জমির মালিক মোকছেদ আলীর ছেলে অভিযোগকারী গত ১০ জুলাই রাত ১১টায় ডিমলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া মৌজার বাসিন্দা অভিযোগকারী আব্দুল হকের পিতা মোকছেদ আলী গত ১২/০৬/১৯৬৬ ইং তারিখে ২৪০৪ নং কবলা দলিল মুলে এসএ রেকর্ডীয় মালিক সামছুল হক গং এর নিকট হতে জমি খরিদ করেন। মোকছেদ আলী ভোগদখল থাকা অবস্থায় চলাচলের সুবিধার্থে মৌজা- ছাতনাই বালাপাড়া,জেএল নং-০৯, খতিয়ান-এস,এ- ৭০৩, বিএস ডিপি-১৬৮৯, দাগ নং- এস,এ-৩১৪০ দাগের হাল ৩৫৪৪ দাগে ১২ শতাংশ জমি সরকারী রাস্তার অংশ হিসেবে বি,এস রেকর্ড করে দেয়। রাস্তাটি সরকারী নক্সায় অর্ন্তভুক্ত হয়।
মোকছেদ আলী বলেন, গ্রামের লোকজনের চলাচলের সুবিধার্থে আমার নিজস্ব জমির উপর দিয়ে রাস্তা করে দেই সেটি বি,এস রেকর্ডে সরকারী নক্সা ভ‚ক্ত হয়। এই রাস্তাটি দিয়ে গ্রামের প্রায় ৪০/৫০টি পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করে। সম্প্রতি রাস্তার দুই পার্শ্বের জমির মালিক অত্র এলাকার বাসিন্দা মৃত নায়েব আলীর পুত্র হামিদার রহমান গং রাস্তাটি নিজেদের দাবী করে রাস্তার ১০/১২ ফুট কোদাল দিয়ে কেটে জবর দখল করে এবং পাশ্ববর্তী জমির বাঁশ ঝাড়ের বাঁশ এলোপাতাড়ি কেটে রাস্তায় ফেলে রেখে চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
রাস্তাটি কেটে ফেলায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় সাধারন মানুষ। কয়েকজন স্থানীয় গ্রামবাসী বলেন, আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি জবর দখল করে কেটে ফেলায় ভ্যান, অটোরিক্সা, কৃষি কাজের জন্য ট্রাক্টর চলাচল করতে পারে না। আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে, হাট বাজারে কোন মালামাল নিতে পারছি না।
অভিযুক্ত আব্দুল হক বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী সহ ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ম্যাপের রাস্তা নিয়ে ইতি পূর্বে বহুবার বিরোধ নিষ্পত্তি চেষ্টা করেও তা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসীর দাবী বিএস রেকর্ড মুলে সরকারী ম্যাপের নক্সার রাস্তাটি দখল মুক্ত করে সাধারন জনগনের দূর্ভোগ দুর করতে প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহিম বলেন, রাস্তা কাটার একটি অভিযোগ পেয়েছি। এস.আই ইমরানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরে জমিন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।