জানা যায় পুশাইনগর বাজারে কোরবানি ঈদের দিন বিকালে নজাক আলীকে মারধর করে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে যুবক। ঘটনার ১০ দিন পর রবিবার ৯ জুলাই বিকালে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নাক আলী।
নিহত নজাক আলীর বড় ভাই নিয়ামত আলী জানান কোরবানির ঈদের দিন বিকালে নজাক দোকানে বসেছিলো। এমন সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে কোরবানির মাংশকে ইস্যু করে তর্কতর্কি শুরু করেন মৃত জইর আলীর ছেলে পারভেজ মিয়া,ফয়সাল মিয়া ও মান্না মিয়া। ঘটনার একপর্যায়ে নজাককে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। নজাকের চিৎকারে আগাইয়া আসার পর দুর্বৃত্তোরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন নজাককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু নজাক আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুলাউড়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফাড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দুপুরে মারা যান । এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই নিয়ামত আলী কুলাউড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুছ ছালেক জানান, হামলার পর নিয়ামত আলী বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে, কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের জিলান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার, ৯ জুলাই তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জিলান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দতরমুড়ি গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে মাহি , ঘাগটিয়া গ্রামের রুমেল খান ও গিয়াসনগর গ্রামের নেওয়ার আলীর ছেলে হেলাল আহমদকে আটক করে। ওসি আব্দুছ ছালেক বলেন, বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে জানান তিনি।