শুক্রবার বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মামুনুর রশিদ এ অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা যুগ্ন সদস্য সচিব নুরে আলম রুপম, হরিপুর উপজেলার গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক সুমন সরকার, ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক জীবন মাহমুদ, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব সবুজ আলী, ইমরানসহ কয়েকজন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ফারুক হাসান ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের মালিভিটা গ্রামের বাসিন্দা। তাকে তার নিজ জেলার গণ অধিকার ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দেই অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য মামুনুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, ইতোমধ্যে আপনারা অবগত হয়েছেন যে গত বৃহস্পতিবার, ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে গণঅধিকার পরিষদের ব্যানারে কিছু ভূঁইফোড় ও দলছুট ব্যক্তি একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বাযক ফারুক হাসান, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা অসত্য এবং উদ্যোশে প্রণীত । মামুন রশিদ আরো বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণঅধিকার পরিষদকে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র হিসাবেই ফারুক হাসানের এই সংবাদ সম্মেলন।
ফারুক হাসান ইতিমধ্যে দলীয় নাম ভাঙ্গিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অর্থ নিয়ে তা আত্নসার্ত করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নারীকে উক্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। এ সব কিছু আড়াল করার জন্যই সরকারের এজেন্টের সাথে হাত মিলিয়ে ফারুক হাসান কিছু দলছুট নেতাকে নিয়ে একটি ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করে নুরুল হক নুর সহ গণ অধিকার পরিষদকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন, ফারুক হাসান গংদের এই ষড়যন্ত্র কোন দিনই সফল হবে না। তাছাড়া ফারুক দলের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করার প্রতিবাদে তাকে ঠাকুরগাঁও জেলায় অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হলো।
জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক ফারুক হাসান মুঠোফোনে বলেন, সংবাদ সম্মেলনটি আমি দেখেছি। সেখানে গণঅধিকার পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন নেতাকর্মি ছিল না। সুতারাং সংবাদ সম্মেলনে কে কি বললো তা আমি গুরুত্ব দিচ্ছি না।