জানা যায়, উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আবু সাঈদ নামের এক যুবক মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ও ঢাকা চন্দ্রগাথী গ্রামের বাপ্পু রহমান নামের আরেক যুবক রোববার (২ জুলাই) শরীরে ডেঙ্গুর অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়েছে। বাপ্পু রহমানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও আবু সাঈদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়া আবু সাঈদ বলেন, পাবনায় এক আত্নীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে রাতে মশারি ছাড়াই ঘুমিয়েছিলাম। সেখানে মশার উপদ্রব ছিল। কোন ধরনের মশা বুঝতে পারেনি। সেখান থেকে ফিরে আসার পর জ্বর দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে ঔষধ খেয়েও কাজ হচ্ছিলনা। পরে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাপ্পু রহমানের বাবা সাহেদ আলী বলেন, আমার ছেলে মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদুৎ অফিসে কর্মরত ছিল। জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসার পর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশাদুজ্জামান আসাদ বলেন, পরীক্ষা করে ২ জন ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এখানে সব ধরণের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ভর্তি হওয়া রোগী চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। তবে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্য মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেন তিনি।