১২ জনকে স্থানীয় নেতার হাতে হস্তান্তর করা হবে। এরপর আমাদের সেনা কলামগুলো তাদের কর্ডন তুলে নেয়। অভিযানে জঙ্গীদের কাছ থেকে যে সব অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধ-উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছিল সেগুলো নিয়ে এলাকা ত্যাগ করে।
দিল্লির বৈঠক নিয়েও বিরোধ এদিকে শনিবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক সর্বদলীয় বৈঠকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম দিন থেকে মণিপুর পরিস্থিতির ওপর প্রতিনিয়ত নজর রাখছেন এবং পরিপূর্ণ সংবেদনশীলতা নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন।
ভারতের প্রধান বার্তা সংস্থা পিটিআই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন নীরব, এই প্রশ্নে ভারতে সরকারকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এমন কী, আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদির সদ্যসমাপ্ত রাষ্ট্রীয় সফরেও তাকে এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।
পিটিআইয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, সর্বদলীয় বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান গত ১৩ জুন থেকে মণিপুরে একটিও প্রাণহানি হয়নি এবং রাজ্যের পরিস্থিতি যে ‘ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে’ এটি তারই একটি উদাহরণ।
প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস অবশ্য অমিত শাহর ডাকা এই বৈঠককে পুরোপুরি ‘লোকদেখানো’ বলে বর্ণনা করেছে।
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ টুইট করে অভিযোগ করেছেন, বৈঠকে তাদের প্রতিনিধি ছিলেন মণিপুরের সবচেয়ে সিনিয়র রাজনীতিবিদ তথা তিনবারের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিং – কিন্তু তাকে তার বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
সূত্র : বিবিসি