শিরোনাম
বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে দুই বাংলাদেশী যুবকক আটক। গার্ডকে মারতে এসে আইনজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা, ৫ জন গ্রেফতার। বৃষ্টিতে ‘বিদ্যুৎবিভ্রাট’রাণীশংকৈলে মোমবাতির আলোতে এসএসসি পরীক্ষা। ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দুর্নীতির অভিযোগে বদলি। মাধবপুরে এসএসসি সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনে ৩৫ জন অনুপস্থিত। কালিয়াকৈরে আগুনে পুড়ে গেল ৩ টি ঝুটের গোডাউন। গাঁজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে তাহিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। রায়পুরায় ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম। ইনডাকশান প্রশিক্ষণ ডিজি এ্যাওয়ার্ড পেলেন নাজমুল হক। পরিবেশ দুষণরোধে পলিথিনের ব্যবহার বর্জন ও প্লাষ্টিকের পুন:ব্যবহার জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন।
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৮ অপরাহ্ন

ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঠং ঠং শব্দে মুখরিত বাঘার কামাড় পট্টি।

মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ / ১৮৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের তারিখ ও সময় : শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩

কোরবানি দিবেন এমন পরিবারের সদস্যরা বা কোরবানির দায়িত্ব পাওয়া কসাইরা নিজেদের চাহিদামতো দা, ছুরি, চাক্কু, চাপাতি, কুড়াল, বটি বানাতে ছুটছেন কামারদের কাছে। তাই গরম লোহা পেটানোর ‘ঠং ঠং’ শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে বাঘা উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের কামারপট্টিগুলো।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কয়লার আগুনে লোহা পুড়িয়ে এসব তৈরি এবং পুরনোগুলো শাণ দিয়ে ধারালো করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাঘা উপজেলার কামাররা। এসব মালামালের চাহিদা পূরণে কামাররা দিন-রাত কাজ করছেন। জমজমাট হয়ে উঠেছে কামারপাড়া। এ ব্যস্ততা চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত। গত কয়েকদিন রাজশাহীর বাঘাতে কামারপাড়া ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।

বাঘা উপজেলার বাঘা পৌর শহরের নারায়নপুর, বাঘা বাজার, চন্ডিপুর, আড়ানী পৌর এলাকার আড়ানী বাজার, রুস্তপুর বাজার,কটারমোড়, আড়ানী রেল স্টেশন, বাউসা ইউপির দিঘা বাজার, বাউসা বাজার, তেঁথুলিয়া বাজার, আড়ানী ইউপির হরিপুর বাজার, পাচঁপাড়া বাজার, চক-বাউসা বাজার, মনিগ্রাম ইউপির মনিগ্রাম বাজার, বিনোদপুর বাজারর, মিরগঞ্জ বাজার,পাকুড়িয়া ইউপির পানিকামড়া বাজার, আলাইপুর বাজার,কেশবপুর বাজার,গড়গড়ি ইউপির খায়েরহাট বাজার, সরেরহাট বাজার,খানপুর বাজার,বাজুবাঘা ইউপির চন্ডিপুর বাজার,জোতরাঘব বাজার, বারখাদিয়া বাজার, পিরগাছা বাজার,চকরাজাপুর ইউপির চকরাজাপুর বাজার, পলাশী বাজারসহ ছোট-বড় সকল হাটে ঘুরে দেখা যায় সেখানকার কামাররা ছুরি চাপাতি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, একের পর এক ক্রেতা এসে বাঘার কামারপট্টির দোকানে ভিড় করছেন। সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার কামাররা দোকানে বসেই খেয়ে নিচ্ছেন। পুরোনো দুটি দা, একটি বটি ও একটি ছুরিতে শাণ দেওয়ার জন্য কামররা ২৫০ টাকা রখছেন। অন্য সময়ে এর মজুরি দেড়শ টাকার মতো। আর নতুন একটি ছোরা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, বিভিন্ন সাইজের চাক্কু ৫০ থেকে ১০০ টাকা, বটি দুইশ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। ক্রেতারা জানান, অন্য সময়ের চেয়ে এখন দ্বিগুণ দাম রাখা হচ্ছে।

কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোরবানির ঈদের সময় তাদের যে বেচাকেনা হয় তা অন্যকোনও সময়ে হয় না। তাই এ ঈদের আগে পেশাজীবী কামারদের সচ্ছল হওয়ার মোক্ষম সময়। অনেক কামার আগে থেকেই এসব মালামাল প্রস্তত করে ঈদের সময় বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকেন।

কামাররা জানান, এ পেশায় পরিশ্রম অনুযায়ী তারা মূল্য পান না। বাজারে লোহার দাম বেশি। জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হলেও শুধু পরিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ পেশাটিকে এখনও আঁকড়ে আছেন অধিকাংশ কামার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর