বুধবার বিকালে উপজেলার মনিগ্রাম মাদ্রাসা মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে মা-মেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আতংকের মধ্যে রয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার মনিগ্রাম মাদ্রাসা মোড় এলাকায় আব্দুল জলিলের বাড়ি পাশে হেলে একটি বাঁশ প্রতিবেশি কাদেরের জমির সিমানায় গেছে । এই বাঁশ বুধবার (৭ জুন) বিকালে ওই একই স্থানের আব্দুল খালেকের ছেলে সিয়াম হোসেন কাটতে যায়। এ সময় বাঁশ কাটতে নিষেধ করেন আব্দুল জলিলের স্ত্রী কবিতা সরকার ও তার মেয়ে রাজশাহী কলেজে অনার্স পড়ুয়া জুঁই সরকার। তাদের নিষেধ অমান্য করে বাঁশ কাটেন। বিষয়টি নিয়ে জুঁই সরকার তার দাদার কাছে নালিশ করে। এতে সিয়াম হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে অনার্স পড়–য়া মেয়ে জুঁই সরকারকে ও তার মা পারভীন বেগমকে হাসুয়ার উল্টা পিঠ দিয়ে ও বাঁশের লাঠিদিয়ে মারপিট করা হয়েছে। এতে তারা আহত হন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আবদুল জলিলের স্ত্রী কবিতা সরকার বলেন, আমার জমির বাঁশ কাটতে নিষেধ করায় নির্যাতন করা হয়েছে। এছাড়াও কারনে অকারনে তারা অত্যাচার করে। এতে প্রতিবাদ করলে নির্যাতন করে।
এ বিষয়ে সিয়াম হোসেন বলেন, একটি হেলে পড়া বাঁশ আমার জমির উপর আসায় কাটা হয়েছে। এরপর থেকে মা মেয়ে অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা বলতে শুরু করে। এতে রাগ সহ্য করতে না পেরে একটি ধাক্কা দিয়েছি। তাদের কোন মারপিট বা নির্যাতন করা হয়নি।
বাঘা থানার সহকারি পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান জানান,নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি ঘটনার সত্যতা পাই। সামাজিকভাবে বিষয়টি মিমাংসা করে নেওয়ার জন্য সমাজ প্রধানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মিমাংসা না হলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।