টানা কয়েকদিনের অসহনীয় গরমে পুড়ছে সারাদেশ সেই সঙ্গে মানুষের কষ্টেরও কমতি নেই। সূর্যের গনগনে আঁচে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভুট্টা, ধান, গমসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। নষ্ট হয়ে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ।
এ অবস্থায় আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফ ও বৃষ্টি চেয়ে আবারও ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে উপজেলার কাউন্সিল হাট ঈদগাহ দাখিল মাদ্রাসা মাঠে শুভ শক্তি সোসাইটি সংগঠন এ নামাজ ও মোনাজাতের আয়োজন করে।
ওই নামাজে উপজেলার সর্বস্তরের মুসল্লিরা উপস্থিত হন। এসময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। পরে বৃষ্টি চেয়ে ও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাতও করেন।
আজ নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। খুতবা প্রদান করেন মাওলানা রাজেকুল ইসলাম।
এর আগে গত শনিবার (১৩ মে) উপজেলার মধ্য ভান্ডারা দারুল কুরআন সলিমিয়া মাদ্রাসার মাঠে দুপুরের দিকে এই নামাজ আদায় করেন আলেম উলেমা ও সাধারণ মুসল্লিরা।
নামাজে অংশ নেওয়া আব্দুল খালেক বলেন, খাঁ খাঁ রোদে দাঁড়িয়ে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য নামাজ আদায় করতে এসেছি। নামাজের কাছে রোদ ও ভ্যাপসা গরম কিছুই মনে হয়নি। আল্লাহর রহমতে বৃষ্টি নামবে। জমিনে মানুষ প্রশান্তি পাবে।
ভরনিয়া গ্রামের সবজি চাষি আশরাফ বলেন, ‘আমরা কৃষিকাজ করে সংসার চালাই। আমাদের মাঠে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না। এই গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই বৃষ্টির জন্য আমরা নামাজ আদায় ও দোয়া করলাম।’
নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনাকারী ইমাম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রাসুল (সা.) তার সময়েও বৃষ্টির জন্য এই সালাত আদায় করতেন। আমরাও আদায় করলাম। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং বৃষ্টি চাইলাম।’