বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের বড় নবাবপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছে বিথীকা বালা এক সংখ্যালঘু নারী।
১৫ মে সোমবার সকাল ৯ টার সময় উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের বড় নবাবপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে যে, বিথীকা বালা’র স্বামী রমেশ বালা’র সাথে একই গ্রামের ফরিদ শেখ’র পুত্র ইব্রাহিম শেখ’র দীর্ঘ দিনের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
বিরোধের জের ধরে ইব্রাহিম শেখ আহতের স্বামী রমেশ বালাকে জোর করে তাদের বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। তার স্ত্রী বিথিকা বালা বিষয়টি টের পেয়ে ইব্রাহিমের বাড়ীতে গেলে তাকে রুমের মধ্যে আটকে ইব্রাহিম, স্ত্রী আরিফা আক্তার রত্না এবং অজ্ঞাত এক মহিলা বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে তারা বিথীকা বালার কানের দুল ছিড়ে নেওয়ায় তার কান ছিড়ে যায় বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
বিথীকা এ ঘটনা ফয়লাহাট পুলিশ ফাঁড়িতে জানিয়েছেন বলে জানান। স্থানীয় লোকজন বিথীকা-কে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। জানা গেছে যে, বিথীকার আঘাতে ইব্রাহিমের স্ত্রী রত্না’র নাক ফেটে গেছে। এ বিষয়ে বিথীকার কাছে জানতে চাইলে বলেন যে, তারা তিন জন মিলে আমাদের মারপিট করেছে। তাদেরকে আমরা কিভাবে মারপিট করব। ওরা মিথ্যা কথা বলছে।
উজলকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড সা়ংবাদিকদের জানান যে, বিথিকা বালা অত্যন্ত নিরীহ মানুষ। তাদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। তারা যাতে ন্যায় বিচার পেতে পারে, সে বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি এস. এম আশরাফুল আলম জানান যে, তিনি ঘটনাটি জেনে পুলিশ পাঠিয়েছেন। মারামারির ঘটনায় বিথিকার কান ছিড়ে গেছে ও রত্নার নাক ফেটে গেছে। কেউ এখন ও থানায় অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Post Views: 110