নীলফামারীর ডিমলায় প্রধান শিক্ষকের ভুলে এক শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষার্থী দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে । বৃহস্পতিবার (২৭শে এপ্রিল) ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে শিক্ষার্থী শিমুর বাবা রবিউল ইসলাম।ডিমলা খগা বড়বাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফা আক্তার লিজার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শিমু আক্তার উপজেলার নিজ সুন্দর খাতা গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। তিনি ওই বিদ্যালয়ের মানবিক শাখা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিলো।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে যথা সময়ে শিমু আক্তারের ফরম পূরণের এর জন্য দুই হাজার চারশত টাকা জমা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করেননি। সম্প্রতি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিতে বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক জানান শিমুর ফরম পূরণ হয়নি।পরে প্রধান শিক্ষকের নিকট এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা করে সময়ক্ষেপন করেন। এ ঘটনায় পরীক্ষা দিতে পারবেনা জেনে ওই শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
রবিউল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের এরকম অবহেলার কারণে আমার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ হয়নি। ফরম পূরণের জন্য আরো ছয় হাজার টাকা চেয়েছেন তিনি । আমি গরীব মানুষ এতো টাকা কোথায় পাবো। তিনি বলেন, পরীক্ষা দিতে না পেরে যদি আমার মেয়ের কিছু হয়ে যায় এর দায়ভার কে নেবে?
শিক্ষার্থী শিমু আকতার বলেন, আমি প্রধান শিক্ষককে ফরম পূরণের জন্য টাকা জমা দিয়েছি। এ্যাডমিট কার্জাড তুরতে গিয়ে জানতে পারি আমার এসএসসি ফরম পূরণ হয়নি। ভুল করে আমার নামের আরেকজন ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ হয়েছে। এখন প্রধান শিক্ষক আমাকে এক বছর অপেক্ষা করতে বলছেন। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মারুফা আক্তারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত। ঘটনার বিস্তারিত জানতে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণের কার্যক্রম শুরু করা হয়। আগামী ৩০ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।