সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাতলাঠি গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে চাঁন মিয়াকে হত্যা করার ঘটনায় মামলা করায় বাদীকে মামলা তুলে নিতে আসামিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। পাশা পাশি মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে ও নিহতের আত্মীয় স্বজনকে ভয় ভীতি দেখানো ও চাপ দেয়া হচ্ছে৷ মামলার প্রধান আসামি হলেন ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাতলাঠি গ্রামের জব্বার হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন, মৃত আজিজুল হকের ছেলে সামছুল হক ও মৃত মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন। হুমকি দেয়ার কারনে গত ৭ এপ্রিল দুপুরে বেলকুচি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নিহত চাঁন মিয়ার বড় ভাই আব্দুস শুকুর আকন্দ।
জিডির অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আব্দুস শুকুরের সহদর ছোট ভাই চাঁন মিয়া আকন্দকে হত্যা করা হয়। পরে বাদী হয়ে আব্দুর করিম হত্যার মামলা দায়ের করেন। হত্যা কান্ডে জড়িত থাকায় সাতলাঠি গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে সামচুল ও জুব্বার হোসেনের ছেলে তারেক হোসেনসহ অনেকেক আসামি করা হয়। জামিনে বের হয়ে মামলা উঠানোর জন্য বিভিন্ন সময় হুমকী দামকি দিচ্ছেন। গত ১৭ মার্চে সকালে মামলার বাদী আব্দুর করিমের বাড়িতে গিয়ে মামলা উঠানোর জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। এ ছাড়াও গত ৪ এপ্রিলে সন্ধ্যায় নিহতের বাড়িতে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এসে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও পরিবারের লোকজনের উপর প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এ বিষয়ে আব্দুস শুকুর আকন্দ বলেন, আসিরা শুধু মামলার বাদীকে নয়, চাঁন মিয়ার আত্মীয় স্বজনকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হত্যার হুমকি দিচ্ছেন৷ এ ঘটনার পর থেকে পরিবার ও স্বজন নিয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন৷ মূল আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আতঙ্কে আছেন৷
এ ব্যাপারে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলবে এটাই স্বাভাবিক। মামলা তুলে নেয়ার হুমকির জিডির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাতলাঠি গ্রামের চাঁন মিয়ার বাড়িতে একই গ্রামের জব্বার হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন, মৃত আজিজুল হকের ছেলে সামছুল হক ও মৃত মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীবাহিনী গিয়ে চাঁন মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।