রাজশাহীর বাঘায় রাতের আঁধারে বিভিন্ন ফসলের খেত নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৮ ফেব্রæয়ারি) রাতে কে বা কারা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের খাগড়বাড়িয়া, দিঘা ও বাউসা ভেড়ালীপাড়া মাঠে রোপন করা পেঁয়াজ, রসুন, মটর ,ভুট্টা ও গমের খেত নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা পশ্চিম, খাগড়বাড়িয়া ও বাউসা ভেড়ালীপাড়া গ্রামের ১৬ জন কৃষক নিজ নিজ জমিতে পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ভুট্টা ও গমের আবাদ করেন। এসব জমির পেঁয়াজ উপড়ে ফেলা হয়েছে। কিছু জমির রসুন ও পেঁয়াজসহ অন্যান্য ফসল কেটে নষ্ট করা হয়েছে। আবার কিছু কিছু জমির পেঁয়াজ পা দিয়ে পিষে দেওয়া হয়েছে।
পেঁয়াজ চাষী শাহানারা বেগম বলেন, সিদ্দিকের পেয়ারার জমিতে একটি ফিডের বস্তার ব্যাগ পাওয়া যায়। দেখেন। তার মধ্যে একটি গামছা একটি লুঙ্গি, কয়েলের ভাঙ্গা অংশ ও একটি কলম রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে রাতে তারাই খেতের ফসল নষ্ট করেছে। তবে কে বা কারা কী কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটি বুঝতে পারছিনা। তিন বছর যাবৎ একটি চক্র এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। এ চক্রকে চিহিৃত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
বাউসার ভেড়ালীপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন তুফা ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ১৫ কাঠা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছেন। তিনি ঋণ নিয়ে এই আবাদ করেছেন। পেঁয়াজ কেটে ফেলায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। বাউসার ভেড়ালীপাড়ার জয় সরকারের জমিতে রোপন করা মটর, ভুট্টা, রসুন, পেঁয়াজ খেত নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার দিঘা পশ্চিমপাড়ার সরুজ আলী বলেন, ১৪ হাজার টাকায় জমি লিজ নিয়ে এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়। তিনি একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। সারের দোকানে বাঁকি রয়েছে । ক্ষতি তো হয়ে গেল, কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবো এ চিন্তায় আছি।
বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ তুফান বলেন, ‘এ বিষয়ে পেঁয়াজ চাষিরা আমাকে জানিয়েছেন। আমি মাঠে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খেতগুলো দেখেছি। পুলিশ প্রশাসনকেও বিষয়টি জানিয়েছি।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাউসা ইউনিয়নে ফসলের ক্ষতির ঘটনাটি জানার পর মাঠ পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত করে অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।