গড়িমসির পর আদালতের নির্দেশে ধর্ষণচেষ্টার মামলা নিলেও আসামিকে আটক করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
মামলার আসামি হলেন- উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের পাটগাঁও গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে হারুন অর রশিদ।
গত ২০ জানুয়ারি রাতের ঘটনায় পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ ২৯ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও জজ আদালতের মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। আদালতের আদেশে ৫ ফেব্রুয়ারি মামলা নথিভুক্ত করে রাণীশংকৈল থানা। পরদিন রাতে হারুনকে পৌর শহরের বন্দর থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
মামলার বাদী ওই গৃহবধূ বলেন, ‘থানায় নেওয়ার দু-ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
ঠাকুরগাঁও জজ আদালতের আইনজীবী আব্দুস সোবহান বলেন, ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামিকে হেফাজতে নিয়ে আদালতের আদেশ ছাড়া মুক্তি দিতে পারে না পুলিশ। পুলিশের কাজ মামলাটি তদন্ত করে সঠিক প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা ও আসামি গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, হারুনকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি, জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় আনা হয়। মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
‘মামলাটি আমার কাছে মিথ্যা মনে হয়েছে। নির্দোষ কোনো ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না, তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২০ জানুয়ারি রাতে ওই গৃহবধূকে হারুন অর রশিদ ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন উপস্থিত হয়ে হারুণকে আটক করে। পরের দিন সকালে হারুনের ভাই বুলবুলের নেতৃত্বে তাদের লোকজন গিয়ে ওই গৃহবধূর বাড়িতে হামলা চালিয়ে হারুনকে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রাণীশংকৈল থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। পরে গত ২৯ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও জজ আদালতের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলার আবেদন করে ভুক্তভোগী গৃহবধূ। আদালত মামলাটি রাণীশংকৈল থানাকে রেকর্ডভুক্ত করে ঘটনা তদন্তসহ মামলাটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী রাণীশংকৈল থানায় মামলাটি গত রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রেকর্ডভুক্ত হয়।
এ বিষয়ে হারনুর অর রশিদ বলেন, ‘মামলাটি সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা ও সাজানো। তাই পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে।