চাঁপাইনবাবগঞ্জে র্যাব-৫ রাজশাহীর একটি অপারেশন দল ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত ৯টার সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের মাষ্টার পাড়াস্থ সুফিয়ান বিদ্যা নিকেতন এন্ড প্রাইভেট হোম জনৈক মাইনুল ইসলাম এর ১তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং ঘরে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ভূয়া এনজিও বিসিফ এর অফিস থেকে সংস্থায় মানুষের জমাকৃত কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের মূলহোতা সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব।র্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে গ্রামের সাধারণ মানুষের টাকা গ্রহণ করে অধিক মুনাফা দেয়ার লোভ দেখিয়ে বিসিফ নামে একটি ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠা করে। উক্ত এনজিওতে বিভিন্ন গ্রাহককে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে গরীব অসহায় লোকদের টাকা বিনিয়োগ এবং ঋণ নেয়ার জন্য উৎসাহ দিতো। অসহায় লোকজন তাদের ফাঁদে পড়ে টাকা বিনিয়োগ করতো এবং ফাঁকা চেক জমার মাধ্যমে ঋণ উত্তোলন করলে এনজিও কর্মীরা ব্যাংক চেক ব্ল্যাক মেইল এর মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা এবং গ্রাহকের জমাকৃত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
অসংখ্য ভূক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব চাঁপাইনবাগঞ্জের চৌকস গোয়েন্দা দল দীর্ঘদিন ধরে উক্ত বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করে বিসিফ এর মূলহোতা ও ম্যানেজারসহ প্রতারক চক্রের ০৬ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন নাচোল থানার খোলশি গ্রামের হাজী মোঃ জাকারিয়া ছেলে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মোঃ ইব্রাহিম (৩৭), রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ রায়হান উদ্দিন (৩০) ও নাচোল উপজেলার গাছপুকুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ক্যাশিয়ার আতিকুর রহমান।
এছাড়া মাঠকর্মী হিসেবে ফরহাদ হোসেন(৩১), শাহ আলম(২৪), রেজাউল করিম(২৪)।
তাদের কাছ থেকে ৫০০পিস ভূয়া পাশ বই, ১০টি ভূয়া সীল, ১৪টি চেক/লোন রেজিষ্ট্রার, ২০০টি ব্যাংক চেক, ০৪টি আইডি কার্ড, ০৭টি মোবাইল ফোন এবং ১০টি সীমকার্ড উদ্ধার করা হয়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী উক্ত ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।