সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিএ ডিসির গভীর নলকূপ স্হাপনকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হামলা ভাংচুরের ঘটনায় মোঃ মজনু বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে চাঁদা বাজির মামলা দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে জানা যায় উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের ভায়ড়া গ্রামের ১৪৬ মৌজার আরএস খতিয়ান নং- ০১ আরএস দাগ নং- ৫৬৩ এবং আরএস খতিয়ান নং- ১২৯ আরএস দাগ নং- ৭৪৪ ভায়ড়া গ্রামবাসীর মালিকানাধীন দুটি গভীর নলকূপ রয়েছে। নলকূপ দুটি গ্রামবাসী সমবায়ের ভিত্তিতে ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে পরিচালনা করা বস্থায় গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি গ্রামবাসীকে ভুল বুঝিয়ে গভীর নলকূপ দুটি বিএডি সির নিকট হস্তান্তর করে বিনা খরচায় বৈদ্যুতিক সংযোগ পাবার আশ্বাস দিয়ে বিএডিসি বরাবর আবেদন করে।
এ ঘটনার পর থেকেই গ্রামের সাধারণত মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এবং বিরোধের সুত্রপাত হয়। ঘটনার একপর্যায়ে গত ১৪/১২/২০২২ ইং তারিখ বুধবার সন্ধ্যা ৭ ঘটি কার দিকে আবদুল মজিদের নেতৃত্বে ভায়ড়া গ্রামের মোঃ ছাকোয়াত হোসেনের ছেলে, মোঃ মনিরুল ইসলাম, আহসান আলী সরকারের ছেলে মোঃ মাসুদ পারভেজ, ও মিলন সরকার, মৃত আবুল হোসেনের ছেলে, মোঃ আলহাজ্ব আলী, মৃত জয়নালের ছেলে, মোঃ ছাকোয়াত হোসন,মোঃ জাবেদ আলীর ছেলে, মোঃ মোমিন খন্দকার, মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্বাস সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন হাতে লোহার রড,কাঠের বাটাম,শাবল, বাঁশের লাঠি, দেশীয় অস্ত্র সস্র নিয়ে বেআইনি ভাবে বসত বাড়ির টিনের ঘরের বেড়া,দরজা, জানালা, পানির মোটরসহ বাড়ির গেট ভাংচুর করে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে ষ্টীলের ট্যাংক ভাঙ্গিয়া ট্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা জোরপূর্বক ভাবে মারপিট করে নিয়ে নেয়। আমি চিৎকার করিলে পাড়ার লোকজন আগাইয়া আসিলে আসামীরা পালাইয়া যায় ।
উল্লেখ্য আব্দুল মজিদ সরকার একজন এলাকার চিন্হিত সত্রাসী তাহার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। জিআর নং- ২৬৭ ( উল্লা) ধারা-৪৪৭,৩২৩,৩২৬,৩৮৫,৩৭৯,১১৪,৩৪ পেনালকোড উক্ত মামলাটি বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।