ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ হলরুমে বুধবার ২৩ নভেম্বর ইএসডিও-এডুকো ফান্ডেড প্রোজেক্টের মাধ্যমে দিনব্যাপী মুক্ত আলোচনা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় সহকারী কমিশনার ভূমি ইন্দ্রজিৎ সাহার সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহারিয়ার আজম মুন্না, চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ রাণীশংকৈল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ শেফালী বেগম, নেকমরদ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হেলাল উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাহিম উদ্দিন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ও সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি থেকে শিক্ষক, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, কিশোর-কিশোরী ও যুব প্রতিনিধি সহ মোট ১১০জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এডুকো বাংলাদেশ এবং ইএসডিও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অতিথিবৃন্দ এবং অংশগ্রহণকারীদের আসনগ্রহণ এবং সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে সেশন কার্যক্রম শুরু হয়।
শুরুতে ইএসডিও প্রতিনিধি নির্মল মজুমদার এবং সহযোগী সংস্থা এডুকো বাংলাদেশ প্রতিনিধি তাহ্সিনা মোরসালিন ও রাফেজা আক্তার স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা ও পরামর্শ সভায় সংস্থা পরিচিতি ও অংশগ্রহণকারীদের মতামত গ্রহণ করা হয়।
অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন ইএসডিও-এডুকো বাংলাদেশ পরিচালিত কার্যক্রম সমূহ রাণীশংকৈল উপজেলায় সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে উপজেলায় বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা এবং কিশোর-কিশোরী ও যুবদের নিয়ে ক্লাব কার্যক্রম অন্যতম। বিশেষ করে করোনা অতিমারীতে মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কিশোর-কিশোরী ও যুবদের সহযোগিতা, কমিউনিটি ভিত্তিক শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা এবং অসহায়দের জন্য ভকেশনাল ও আইজিএ কার্যক্রম বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি ইন্দ্রজীত সাহা, সহকারী কমিশনার ভূমি বলেন, রাণীশংকৈল এলাকার জনগণ ভাগ্যবান কারণ এখানে ইএসডিও এর মত প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পগুলি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুরা শিক্ষায় অগ্রসর হবে, বাল্যবিবাহরোধ হবে, শিশুশ্রম বন্ধ হবে, যুবাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
উল্লেখ্য যে, গত ফেব্রুয়ারি ২০২১ সাল হতে উপজেলায় এডুকো বাংলাদেশ এর সহায়তায় ইএসডিও কর্তৃক তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্প সমূহ উপজেলার সকল ইউনিয়ন এবং পৌরসভা এলাকার মোট ৪০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট কমিউনিটিতে বাস্তবায়িত হয়েছে। কমিউনিটি এবং উপজেলা পর্যায়ের প্রকল্প সহায়ক সরকারি বেসরকারি অংশীজনদের সাথে যৌথ পরিকল্পনা এবং পরামর্শের মাধ্যমে প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।যা বাস্তবায়িত প্রকল্প উপকার ভোগী শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং যুবদের উন্নয়নে কতটুকু ভূমিকা রেখেছে, পরবর্তীতে সময়ে এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? এসব বিষয়ে সরাসরি উপকারভোগী এবং সেবা প্রদানকারীদের প্রশংসা, পরামর্শ ও অভিযোগ গ্রহণ এর মাধ্যমে প্রকল্পের পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করতে সহায়ক হবে।
Post Views: 325