সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের আটার পাখিয়া ও লটাগাড়ী জলাবদ্ধ বিল মাছ চাষে উপযোগী হলে সফলতা পাবে এলাকার কৃষক। বর্ষা মৌসুমে বিলের নিচু জমি ও ডোবায় পানি ঢুকে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সরকারের মৎস্য বিভাগের সহযোগিতা পেলে বিলটিতে সমবায়ের ভিত্তিতে মাছ চাষের অভরাণ্য হতে পারে। এ থেকে কৃষক ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে। এই বিলে প্রায় ৫০০ বিঘা নিচু জমি ও মাছ চাষের ডোবা রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের সুবিধা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি ও বর্ষার পানিতে তলিয়ে যায় এখানকার ফসল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিলের বেশির ভাগ জায়গা ছোট ছোট ডোবায় ঘেরা এবং বাকী নিচু জমিগুলো এক ফসলি। তাতে বোরা ধানের চাষ হয়।জলাবদ্ধতার কারণে বোরো ধান ছাড়া অন্য ফসল চাষ করা যায় না। আবার বৃষ্টি হলে অনেক সময় ধান ঘরে তুলতে পারে না কৃষক। এতে জমির ধান পানিতে তলিয়ে যায়।
বিনায়েকপুর গ্রামের কৃষক বিপু, আশরাফ, আফছার ও শরীফুল জানান, ওই বিলে আমাদের বেশ কয়েক বিঘা জমি রয়েছে। প্রায় ১০ বছর ধরে জলাবদ্ধ থাকায় বিলের জমিতে সঠিকভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারছি না কৃষকেরা। বিলটিতে ধান চাষের পরিবর্তে মাছ চাষের উপযোগী করলে অধিক মুনাফায় লাভবান হবে এখানকার স্থানীয় কৃষক।
বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল রানা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ১০ বছর ধরে জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদি থেকে যাচ্ছে বিলের জমি। বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি বলেন, বিলটির জমি এক ফসলি। তাও জলাবদ্ধতার কারণে অনেক বছর ফসল তলিয়ে যায়। বিলের সাথে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের অন্য কোন পদ্ধতিতে লাভবান করা যায় কি-না ভেবে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বায়েজিদ আলম জানান, এলাকার কৃষকের বিষয়টি তদন্ত প্রয়োহনীয় ব্যবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে।