বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
গত শুক্রবার (৪/১১/২০২২) রাজশাহীতে পরিকল্পনা বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে চাকরির জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই চাকরি পাবার জন্য আবেদন করেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হেদাতিপাড়া গ্রামের যুবক আবদুল রাশেদ (২৫)।
তবে তিনি নিজে আবেদন করলেও লিখিত পরিক্ষা দেন অন্য জন। ফলে লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বরো পেয়েছেন। আর এ জন্য ডাক পেয়েছেন মৌখিক পরীক্ষার ।
লিখিত পরীক্ষায় খাতায় লিখতে হয়েছে ‘ডাক্তার আসিবার পূর্বেই রোগী মারা গেল’ বাক্যের ইংরেজি ট্রান্সলেট । উত্তর সঠিক লিখেছেন।
লীষ্টে তার রোল এসেছে মৌখিক পরীক্ষার জন্য। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় মৌখিক পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এ দিন জেলা প্রশাসকের দপ্তরে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলসহ তিনজন কর্মকর্তা ছিলেন ভাইভা বোর্ডে।
মৌখিক পরীক্ষায় চাকরি প্রার্থীকে অথ্যাৎ রাশেদকে আবার একই কথা লিখতে বলা হলো ইংরেজিতে। কিন্তু হাতের লেখা মেলেনি, বাক্যেও ইংরেজি শব্দের সবই ভুল।
ভাইভা বোর্ডেই ধরা পড়েগেলেন রাশেদ। পরে তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাশেদের বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তিনি চাকরির আবেদন করেছিলেন। এ পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক পাস।
জেলা প্রশাসক জানান, পরীক্ষার খাতার সঙ্গে হাতের লেখা না মেলা এবং খাতায় দেওয়া সঠিক উত্তর মৌখিক পরীক্ষার সময় লিখতে না পারার কারণে রাশেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তিনি স্বীকার করেন, তাঁর হয়ে অন্য একজন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে রাশেদ তাঁর নাম জানাননি। কত টাকার বিনিময়ে প্রক্সি নেওয়া হয়েছে সেটিও জানাননি। প্রক্সি নেওয়ার কথা স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে রাশেদকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
Post Views: 142