নলডাঙ্গায় শালিসি বৈঠকে ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করলো যুবলীগকর্মীরা।
নাটোরের নলডাঙ্গায় মালেক ব্যাপারী নামের এক ইউপি সদস্যকে শ্যালিসি বৈঠকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার(২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাঁশিলা গ্রামে শ্যালিসি বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে।আহত অবস্থায় ইউপি সদস্য কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।খবর পেয়ে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
আহত ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক ব্যাপারি (৪৭),তিনি উপজেলার বাঁশিলা গ্রামে বাসিন্দা ও মাধনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওর্য়াড সদস্য এবং মাধনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলার মাধনগর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াড সদস্য মালেক ব্যাপারির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় ওর্য়াড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মাসুদ রানা।পরে দলীয়ভাবে দুই পক্ষকে বিষয়টি মিমাংসার উদ্দ্যোগ নেয়। এ বিষয়টি সোমবার বেলা ১০ টার দিকে মিমাংসার জন্য মাধনগর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মিরা বাঁশিলা গ্রামে শ্যালিসি বৈঠকে বসে। অভিযোগের বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে আপোস মিমাংসা শেষে যুবলীগের ওর্যাড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মাসুদ রানার নেতৃত্বে যুবলীগের কর্মীরা ইউপি সদস্য মালেক ব্যাপারির উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে চেয়ার দিয়ে মাথায় আঘাত করে।গুরুতর আহত অবস্থায় ইউপি সদস্য মালেককে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।এ ঘটনায় খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং দুইজনকে যুবলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন,পূর্ব বিরোধের জের ধরে বাঁশিলা গ্রামে দুই পক্ষ শ্যালিসি বৈঠক বসে।শ্যালিসে দুই পক্ষের মধ্যে আপোস মিমাংসা হয়।পরে ইউপি সদস্য মালেক ব্যাপারি উপর হামলা করে প্রতিপক্ষ।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেন।এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে আটক করা হয়েছে।