ইউএনও’র হস্তক্ষেপে চেয়ারম্যানের উদ্যােগে রক্ষা পেল ফসলি জমির জলাবদ্ধতা।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পুর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের বেতুয়া, সয়বাড়ীয়া ও পুকুরপাড় গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষের কৃষি জমির জলাবদ্ধতা দুর করলেন উল্লাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ উজ্জল হোসেনের নির্দেশে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল ইসলাম তপন। স্থানীয় সরকারের একটি নিচু হালটে মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের দাবির প্রেক্ষিতে ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ইউএনও উজ্জ্বল হোসেনের নির্দেশে গত বুধবার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল ইসলাম তপন নির্মিত রাস্তার নিচ দিয়ে পাইপ স্থাপনের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করায় নিরসন হলো জলাবদ্ধতা। এই পাইপ স্থাপনের ফলে ফসলি জমির জলাবদ্ধতা দুরভূত হলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বেতুয়া, সয়বাড়ীয়া ও পুকুরপাড় গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার জন্য স্থানীয় সরকারের একটি নিচু হালটে মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। মাঠের পানি নদীতে নিষ্কাশনের জন্য কোন জোলা বা নালা না থাকায় ঐ নিচু হালট দিয়ে পানি গড়তো। রাস্তা নির্মাণের ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে রাস্তার নিচ দিয়ে পাইপ স্থাপন করে পানির গতিপথ স্বাভাবিক করা হয়েছে। এর ফলে পানিতে ডুবে থাকা কয়েকশ একর ফসলি জমি রক্ষা পেল।
স্থানীয় কৃষক আব্দুর রাজ্জাক, আবুল কালাম, আমীর হোসেন, ফুলজোড় হোসেন ও কৃষাণী হাছিনা খাতুন জানান, নিচু হালটে মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের ফলে পানির স্বাভাবিক গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই অবস্থা থাকলে প্রতি বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ পোহাতে হতো সাধারণ কৃষককে। পাইপ স্থাপনের ফলে জলাবদ্ধতা থাকবেনা আর ফসলি মাঠে। কৃষকের ফসল উৎপাদনে দূরভিত হলো জলাবদ্ধতা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আবু মুছা সরকার জানান, এলাকাবাসীর অসুবিধার কারনে রাস্তা খনন করে পাইপ স্থাপনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দুর করা হয়েছে।
পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল ইসলাম তপন বলেন, কৃষকের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেনের নির্দেশে ফসলি মাঠের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে