শিরোনাম
ইনডাকশান প্রশিক্ষণ ডিজি এ্যাওয়ার্ড পেলেন নাজমুল হক। পরিবেশ দুষণরোধে পলিথিনের ব্যবহার বর্জন ও প্লাষ্টিকের পুন:ব্যবহার জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন। Link Scatter Hitam: Memahami Fitur Baru dalam Permainan Mahjong কালিয়াকৈরে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজ গ্রেফতার। উল্লাপাড়ায় কৃষকের গোয়ালে আগুন পুড়ে মরল ১০ গরু। নীলফামারীর ডিমলায় বসত বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। কালিয়াকৈরে ১০ বছরের শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মুরগী ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার। রায়পুরায় ষষ্ঠ শ্রেণির দুই স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ। তিস্তা নদী থেকে নিখোঁজের পর শিশু সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার।  উল্লাপাড়ায় ঝড়ে পড়া পাতা নিয়ে মারপিটের ঘটনায় নিহত-১,ঘরবাড়ি ভাংচুর-লুটপাট।
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৭ অপরাহ্ন

ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

মোঃ আনোয়ার হোসেন আকাশ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ / ২৩৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের তারিখ ও সময় : মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২

ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার  বড়পলাশবাড়ী ইউপি সদস্য আবু সালেহের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ মাসের জেল ও জরিমানার ভয় দেখিয়ে সীমান্তের নদ থেকে বালু উত্তোলনকারীর আমির হামজা নামে এক ব্যক্তির নিকট থেকে ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আমির হামজা গত ৩১ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য গত ২ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) যোবায়ের হোসেনের স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বুধবার (১০ আগস্ট) শুনানিতে দুই পক্ষকে তাঁর কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবু সালেহ উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং অভিযোগকারী আমি হামজা একই ইউনিয়নের কাশুয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের নুহু মোহাম্মদের ছেলে।
অভিযোগকারী আমির হামজা জানান, ‘বাড়িতে ব্যবহারের জন্য গেল ১৭ জুলাই মেশিন চালিত পাওয়ার ট্রলিতে নাগর নদ থেকে বালু নিয়ে আসার সময় নাগরভিটা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা ট্রলিটি আটক করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেন এবং ইউএনওকে অবগত করেন। পরদিন ১৮ জুলাই ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য আবু সালেহ ও গ্রামপুলিশের মাধ্যমে চালকসহ ট্রলিটিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় হাজির করলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে চালক ও আমাকে পৃথকভাবে ১ হাজার টাকা করে দুজনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। আমরা জরিমানার টাকা জমা করলে ট্রলি ও চালককে ছেড়ে দেন।’
তিনি আরও জানান, ‘এ ঘটনার পর ১৮ জুলাই রাতে আমার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ইউপি সদস্য আবু সালেহ ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ মাসের জেল থেকে বাঁচানোর জন্য খরচ হয়েছে বলে আমার নিকট ৮০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি টাকা না দিলে ইউপি সদস্য ও তাঁর লোকজন মিলে পাওয়ার ট্রলিটি আমার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। এর পর নিরুপায় হয়ে দুই বারে ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে ট্রলিটি ছাড়িয়েছি। অবশিষ্ট ১৫ হাজার টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকলে আমি কৌশলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করি। তিনি লিখিতভাবে জানানোর পরামর্শ দিলে লিখিতভাবে অভিযোগ করি।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য আবু সালেহ জানান, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা থেকে রক্ষা পেতে তিনি নিজেই আমার নিকট এসেছিল। আমিসহ ইউএনও’র কার্যালয়ে সুপারিশ করতে গেলে ইউএনও আমাকে বের করে দিয়ে বিচারের রায় দেন। এর পরের কোনো ঘটনা আমি জানি না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তাঁর  নিকট থেকে আমি কোনো টাকা নেইনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দপ্তরে জমা হয়েছে। আগামীকাল শুনানির জন্য দুই পক্ষকে ডাকা হয়েছে। শুনানিতে দোষ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর