ডিমলায় আমন ধানের বীজতলায় বিষ প্রয়োগ, ক্ষতিগ্রস্থ্য স্থানীয় কৃষক।
নীলফামারীর ডিমলায় আমন ধানের চারায় বিষ প্রয়োগে ১৮ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। রবিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সরে জমিনে দেখা যায়, উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের সীমান্ত পাড়া (নওদাপাড়া) গ্রামের ১৮ জন কৃষকের প্রায় এক একর জমির আমন ধানের চারাগুলো হলুদ বিবর্ণ হয়ে খড়ের মত শুকিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় কৃষকদের নজরে আসলে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকরা ডিমলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ডিমলা থানার পুলিশ ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকের মাঠ পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকরা হলেন সুশিল রায়, জগবন্ধু রায়, দিনাবন্ধু রায়, মধুসূদন রায়, ধুনিয়া রায়, বীরেন্দ্র নাথ রায়, ধনঞ্জয় রায়, সন্তোষ রায়, হরনাথ রায়, জগন্নাথ রায় সহ আরো অনেকে। কৃষক জগবন্ধু জানান, চলতি আমন মৌসুমে ধানের চারা রোপনকে সামনে রেখে নিজের ২০ শতক জায়গায় ধানের চারা রোপন করেছি। জমি রোপনের জন্য প্রস্তুত করব কিন্তু রোপনের আগ মুহুর্তে ধানের চারাগুলো লালচে হলুদ হয়ে মরে যাচ্ছে।
ভূক্তভোগী কুষক সন্তোষ রায় বলেন, আমাদের এলাকার অনেক কৃষকের বীজতলা রাতের অন্ধকারে বিষ ছিটিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বীজতলা নষ্ট করে দেওয়া এ কেমন ধরনের শত্রুতা ? কৃষক বীরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আমরা সাধারন কৃষক ধানের উপর নির্ভশীল ভরা মৌসুমে বীজতলা নষ্ট করে দেয়ায় অন্ধকার দেখছি। নতুন করে বীজতলা তৈরী করে চারা রোপন করা সম্ভব নহে। এই বীজতলা থেকে প্রায় ৩০ একর জমি রোপন করা যেত। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা গোলাম হোসেন জানান,ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের মাঠ পরিদর্শন করা হয়েছে।
সরে জমিনে দেখা যায় আগাছা দমনের ঔষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষকের বীজতলা নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের তালিকা তৈরী করে উর্ধ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নানা পরামর্শ দিচ্ছি। সরকারী সহায়তা এলে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের সহায়তা করা হবে। ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বদেব রায় বলেন, ঘটনা পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত চলমান। ঘটনাটি খুবই দূঃখজনক ।