বাঁশখালীতে হাফেজ নারী গণধর্ষণ,ধর্ষকদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ওয়াজ শুনে ফেরার পথে অটোরিকশা চালকের সহযোগিতায় এক ‘হাফেজা’নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৬ মে) কালীপুরের বৈলছড়ীর সীমান্ত এলাকা বরকাটার গভীর জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হাফেজা ওই নারী মাহফিলের ওয়াজ শুনতে বাঁশখালী কালীপুরের পূর্ব পালেকগ্রাম এলাকায় যান। সেখান থেকে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার জন্য পূর্ব পরিচিত শহিদুল ইসলামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। শহিদুল ওই নারীকে সহজে বাড়ি যাওয়া যাবে বলে ভেতরের রাস্তা দিয়ে কালিপুর বৈলছড়ীর সিমান্ত এলাকা বরকাটার গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা মোক্তার, সরওয়ার, নুরুল আলমসহ কয়েকজন তাকে দিন থেকে রাত পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর পালিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় বাঁশখালী থানা পুলিশ বৈলছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. মোক্তার (৪০), মো. সরওয়ার (৩৫) ও মো. নুরুল আলমকে (৩৫) আটক করে।
ওদিন রাতে ভুক্তভোগী নারীর মা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে পরিবার পরিজন ও এলাকাবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন থেকে অনতিবিলম্বে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শফকত হোসেন চাটগামী, বাঁশখালী ইসলামী যুব কাফেলার সভাপতি মাওলানা জুনাঈদুর রশীদ শওকী, বৈলছড়ী দারুল উলূম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ ইব্রাহিম, আলোর প্রভাতের চেয়ারম্যান মাওলানা আরিফুল্লাহ শাহী, যুব কাফেলার সেক্রেটারি মাওলানা তৈয়ব, হাফেজ হাসান মোস্তফা, হাফেজ তকী উসমান, হাফেজ মাওলানা তৌহিদুল্লাহ আমিন,মাওলানা আবদুর রহীম,মুহাম্মাদ শাহাবুদ্দীন প্রমুখ।
Post Views: 147